পায়ের কিছু সমস্যাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 25 February 2024

পায়ের কিছু সমস্যাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ


পায়ের কিছু সমস্যাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৫ ফেব্রুয়ারি: আজকাল দুর্বল জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক অবস্থা হতে পারে।শরীরের বেশিরভাগ লক্ষণ আপনাকে অনেক রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং একইভাবে,শরীরের কিছু লক্ষণ রয়েছে যা হার্ট অ্যাটাকের সাথে সম্পর্কিত।কিন্তু অনেক সময় তথ্যের অভাবে আমরা কিছু জিনিস বুঝতে পারি না এবং উপেক্ষা করি।হার্ট অ্যাটাক মানে শুধু বুকে ব্যথা নয় আপনার পা-ও এর সাথে জড়িত।আসুন জেনে নেই কিভাবে পা থেকে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি শনাক্ত করা যায়,যা ভুল করেও উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।

হার্ট অ্যাটাক এবং পায়ে ব্যথার মধ্যে সংযোগ কী?

রক্ত যখন শরীরে প্রবাহিত হয়,তখন তা আমাদের পায়ের মধ্য দিয়ে যায় এবং হৃদয়ে পৌঁছায়।তাই আপনার যদি পায়ে কোনও অসুবিধা হয় এবং ব্যথা অনুভব হয়,তাহলে এই সবই হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।

হার্ট ফেইলিওর এবং রক্ত ​​জমাট বাঁধাও হৃদরোগের অন্যতম কারণ।এতে পায়ে ব্যথা অনুভূত হয় যা মারাত্মক হৃদরোগের লক্ষণ এবং এর পেছনের কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস, ধূমপান,স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপ।কখনও কখনও কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণও হতে পারে।

পা দিয়ে হার্টের অবস্থা জানবেন কিভাবে:

পায়ের ত্বক নীল হয়ে যাওয়া -

পায়ের ত্বক নীল হয়ে গেলে তা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার লক্ষণ।  হার্ট অ্যাটাকের আগে অনেক সময় শরীরে ঠিকমতো রক্ত ​​প্রবাহিত হয় না,যার কারণে শরীরের অনেক অংশ নীল হয়ে যেতে পারে।

ফোলা -

আপনি যদি পায়ের চারপাশে ফোলা অনুভব করেন বা দেখতে পান তবে এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।কারণ হৃৎপিণ্ড ঠিকমতো কাজ না করলে অনেক সময় পায়ে রক্ত ​​জমে যায়।

পায়ে অসাড়তা -

কখনও কখনও এমন হয় যে বসে বসে আপনার পা অসাড় হয়ে যায়,তাহলে এটিও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।  এরকম কিছু দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পায়ে দুর্বলতা -

যাদের পায়ে সবসময় সমস্যা থাকে তাদেরও হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।এছাড়া পায়ে ব্যথার সমস্যা যদি সবসময় থেকে যায়,তাহলে তা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।

কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় -

পায়ের ব্যথা এবং বর্ধিত কোলেস্টেরলের মাত্রা ভারসাম্য রাখতে,ডায়েটে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার কমিয়ে দিন।এছাড়া ধূমপান,অ্যালকোহল ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিৎ।উদাহরণস্বরূপ,আপনি হাঁটতে পারেন বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad