সন্দেশখালি যেতে দিতে হবে শুভেন্দুকে, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টে
কলকাতা: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বিচারপতির কথায়, যে চার পঞ্চায়াতে ১৪৪ ধারার বাইরে সেখানে রাজ্যের বিরোধীদল নেতা যেতেই পারেন তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে যেতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁকে নিরাপত্তা দেবে বিএসএফ।
বিরোধী দলনেতার আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে দাবী করেছেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলনেতা সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু মাঝ পথেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। আইনজীবীর বক্তব্য, হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল সন্দেশখালির নির্দিষ্ট এলাকার জরুরি পরিস্থিতি বিচার করে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে। কিন্তু পুলিশে নির্দেশ অমান্য করে সন্দেশখালির বাইরের এলাকাতেও ১৪৪ ধারা জারি করে আটকে দেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর দাবী, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।
পাল্টা রাজ্যের যুক্তি যে, কোনও ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও এই ধরনের পরিস্থিতিতে এলাকায় ঢুকতে দিতে পুলিশ বাধ্য কিনা সেটাও বিবেচনা করা উচিৎ। এছাড়া রাজ্যের আইনজীবীর কথায়, শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালির বাসিন্দা নন, তাই তিনি সেখানে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে মামলা করতে পারেন কিনা সেটাও বিবেচনার বিষয়।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় প্রশাসন বিধিনিষেধ আরোপ করতেই পারে, কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি সেখানে যাবেন না, এটা বলতে পারে না। শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যেতে দিতেই হবে।
বৃহস্পতিবারও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে আদালত ১৪৪ ধারা বাতিল করার পরও পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে তাঁকে আটকেছে বলে শুভেন্দুর অভিযোগ। এরপর বিধায়কদের নিয়ে রামপুরে রাস্তার উপরেই বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। রাস্তায় বসেই পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জানান, পুলিশের কোনও অধিকার নেই সন্দেশখালিতে ঢুকতে তাকে বাধা দেওয়ার। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সোমবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা।
No comments:
Post a Comment