কংগ্রেস প্রধানের স্বামী সহ দুই ভাইকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৩ ফেব্রুয়ারি: কংগ্রেস প্রধানের স্বামী সহ দুই ভাইকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর এলাকায়। গুরুতর জখম তিনজনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস দলের প্রধান ফিরোজা খাতুনের স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় হামলাকারী মুকুলেশ্বর রহমান, জাহাঙ্গীর শেখ, জলিল শেখ সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কংগ্রেস দলের সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের নাম নাসিরুদ্দিন শেখ (৪০), তিনি কংগ্রেস দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুনের স্বামী। অপর দুইজনের নাম গোলাম সাদানি (৩৩) এবং নাসির আহমেদ (২৮)। এরা দুইজন কংগ্রেস প্রধানের স্বামীর ভাই। পুলিশকে অভিযোগে সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস দলের প্রধান ফিরোজা খাতুন জানিয়েছেন, তাদের বাড়ির এক বয়স্ক বৃদ্ধ ঠাকুরদা মানসিক ভারসাম্যহীন। বাড়ির ওই বৃদ্ধ রাস্তায় বেরালে তাঁকে এলাকার তৃণমূল কর্মী জাহাঙ্গীর শেখ, জলিল শেখ , মুকুলেশ্বর রহমান ও তার দলবল অন্যায় ভাবে মারধর করে।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলেই অতর্কিতে আজ সকালে দুষ্কৃতীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। প্রথমেই হাঁসুয়া দিয়ে প্রধানের স্বামী নাসিরুদ্দিন শেখকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে। নাসিরুদ্দিনের দুই ভাই বাধা দেওয়ায় তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যায় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় চিকিৎসকরা মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দেন।
কালিয়াচক ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মিজারুল রহমান জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল দলের দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। অন্যায় ভাবে দলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তার দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কারণ, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতটি হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। সেখানে কংগ্রেস দখল করেছে। সেই শত্রুতা জেরে এই বদলা নেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি কালিয়াচক থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি শুভময় বসু জানিয়েছেন, এখানে কোনও রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেনি। তাঁর কথায়, 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পারিবারিক গোলমালের জেরে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে বলে মনে করছি। কংগ্রেসের নিজেদের দোষ এড়াতে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।'
কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment