ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার প্রস্তুতি! পুতিন ও কিম জং-এর মধ্যে চুক্তি

ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার প্রস্তুতি! পুতিন ও কিম জং-এর মধ্যে চুক্তি

প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৫ ফেব্রুয়ারি : ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মহাযুদ্ধ তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে।  ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, রাশিয়ান সেনাবাহিনী পূর্ণ শক্তি নিয়ে ইউক্রেনের মাটিতে আক্রমণ করেছিল।  চারগুণ বেশি সামরিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও, রাশিয়ান সেনাবাহিনী ইউক্রেনকে পরাজিত করতে পারেনি, কারণ এর পিছনে রয়েছে আমেরিকা এবং সমগ্র পশ্চিমের শক্তি।  এদিকে কিয়েভ একটি বড় দাবী করেছে যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন একসাথে এর বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র করছেন।  উদ্দেশ্য ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা।  উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে এমন মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যা ইউক্রেনের শহরগুলোকে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে।  ইউক্রেনের দাবী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকাও।

 ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস (এসবিইউ) একটি নতুন দাবীর সাথে একটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে যে রাশিয়া ডিসেম্বরের শেষ থেকে ইউক্রেনে হামলায় কমপক্ষে ২০টি উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।  আশঙ্কা করা হচ্ছে, পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে, যাতে ইউক্রেনকে আরও খুন করার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।  পুতিনের অনুরোধে কিম জং উনও প্রস্তুত।  বলা হচ্ছে এই যুদ্ধে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন করছে, তাই এই যুদ্ধে পুতিনকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত কিম জং।  এই যুদ্ধ তৃতীয় বছরে বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হওয়ায় আমেরিকা ও ইউক্রেন উভয়েই খুবই চিন্তিত।

ইউক্রেনের তদন্তকারীরা দাবী করেছেন যে রাশিয়ার দ্বারা নিক্ষেপ করা Hwasong-১১ ক্ষেপণাস্ত্র - যা KN-২৩ এবং KN-২৪ নামেও পরিচিত - ইউক্রেনের কমপক্ষে ২৪ জন বেসামরিক নাগরিককে খুন করেছে এবং কমপক্ষে ১০০ জন আহত হয়েছে৷

 একটি বিবৃতি অনুসারে, এসবিইউ একটি কেএন-২৩ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ধ্বংসাবশেষও উদ্ধার করেছে।  এটি নিশ্চিত করেছে যে উত্তর কোরিয়া এই যুদ্ধে পুতিনকে সমর্থন করছে।

 এসবিইউ বলেছে যে রাশিয়া প্রথম ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব জাপোরিজিয়া অঞ্চলে গোলাবর্ষণের সময় ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার রেকর্ড করেছিল।  এটি যোগ করেছে যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পরবর্তী আক্রমণটি জানুয়ারির শুরুতে কিয়েভে রেকর্ড করা হয়েছিল।  নিরাপত্তা পরিষেবা অনুসারে, কিয়েভের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের চার বাসিন্দা নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন।  রাশিয়ানরাও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ফেব্রুয়ারিতে দোনেৎস্ক অঞ্চলের পাঁচটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করে, যাতে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।