পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল রহস্যময় উল্কাপিন্ড, অবাক নাসার বিজ্ঞানীরাও - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 20 February 2024

পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল রহস্যময় উল্কাপিন্ড, অবাক নাসার বিজ্ঞানীরাও


পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল রহস্যময় উল্কাপিন্ড, অবাক নাসার বিজ্ঞানীরাও



কলকাতা: পৃথিবীতে আচড়ে পড়ল এক রহস্যময় উল্কাপিণ্ড। নাসার বিজ্ঞানীরাও দেখে অবাক। এতদিনে ভিন গ্রহে যা সন্ধান করছিল একাধিক দেশ, এবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়া এই উল্কাপিন্ডের মধ্যে মিলল তার অস্তিত্ব। রহস্যময় এই উল্কা নিয়ে এখনও পর্যন্ত গবেষণা শেষ হয়নি তবে প্রথম পরীক্ষাতে যে তথ্য উঠে এল, তা দেখে হতবাক বিজ্ঞানীরা। 


পৃথিবীর বাইরে ভিন্ন গ্রহে কী প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে? বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। আর ১৯৯৮ সালে মরক্কোয় যখন একটি উল্কা পড়েছিল তখনও সেটিকে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। সেটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল সাইন্স অ্যাডভান্সেস পত্রিকায়। মরোক্কোর সেই উল্কাতেও জলের অনু পাওয়া গিয়েছিল সেই সঙ্গে ছিল অ্যামাইনো আলসেডের অনু। ওই গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছিল, পৃথিবীর বাইরেও জল থাকতে পারে। তারপর থেকে থেমে যায়নি গবেষণা।মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো বিভিন্ন উল্কাপিন্ডে চলতে থাকে জলের সন্ধান। 


এবার বিজ্ঞানীদের হাতে এল আরও বড় প্রমাণ। পরপর দুটি উল্কাপিন্ড থেকে জলের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আমাদের কাছে এতদিন পর্যন্ত সত্যি বিষয়টা বেশ অবাক ছিল। পৃথিবীর বাইরেও কোন গ্রহে জল থাকতে পারে, আর জল থাকলেই সেখানে প্রাণের সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। অর্থাৎ এ থেকে আরও একটা জিনিস ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকছে, বাইরের কিছু গ্রহতে যদি জলের সন্ধান যদি পাওয়া যায় তাহলে কি সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকবে? ভিন গ্রহে প্রাণী আছে কিনা এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাঝে এই বিষয়টি বেশ উল্লেখযোগ্য। 


এই গবেষণাতেও বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা। যেসব গ্ৰহে জল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব গ্রহগুলিতে চলছে বিশেষভাবে নজরদারি। তবে এই উল্কাপিণ্ড থেকে জলের অনুর পাওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন, শুষ্ক বা সিলিকেট গ্ৰহাণু সূর্যের কাছাকাছি তৈরি হয়। বরফের মত কিছু পদার্থ একত্রিত হয়ে দূরের গ্ৰহাণু তৈরি করে। ফলে এটাও একটা কারণ হতে পারে সেখানে জলের সন্ধান পাওয়ার। তবে, এই জলের অনু কোথা থেকে এল তা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করা হচ্ছে।


গবেষকরা আরও বলেন, 'আমরা দুটি উল্কাপিন্ডে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করেছি, যা থেকে স্পষ্ট ভাবে জলের অনুগুলিকে খুঁজে বের করা গিয়েছে। আমরা আমাদের গবেষণার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। তবে এই গোটা মহাশূন্যে কিন্তু রহস্য ঘেরা । আমরা যে গ্যালাক্সিতে বাস করি তার নাম আকাশগঙ্গা। এই গ্যালাক্সিতে সূর্যকে অতিক্রম করে ঘুরপাক খাচ্ছে পৃথিবী। মঙ্গল, বৃহস্পতির মতো একাধিক গ্রহ রয়েছে, প্রচুর নক্ষত্র, ঘোরাঘুরি করছে একাধিক উল্কাপিণ্ড। 


এবার ভেবে দেখুন এমনি আরও কয়েক কোটি গ্যালাক্সি রয়েছে ব্রহ্মাণ্ডে। সেখানেও রয়েছে সূর্যের মতো নক্ষত্র পৃথিবীর মতো গ্রহ। কয়েকশো কোটি আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে সেই সমস্ত গ্যালাক্সি। যেখানে মানুষের যাওয়াটা কোনও দিনই সম্ভব নয়। তাহলে কী আকাশগঙ্গার মত আরও অনেক গ্যালাক্সিতে পৃথিবীর মত প্রাণীর বসবাস রয়েছে, যা হয়তো আমরা কোনদিনও জানতে পারব না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad