জ্ঞানবাপীতে ৩১ বছর পর পুজো! মসজিদে নির্মিত ব্যাস জির বেসমেন্টে মঙ্গলা গৌরীর আরাধনা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ ফেব্রুয়ারি : বৃহস্পতিবার ভোরে জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ওম প্রকাশ মিশ্র এবং গণেশ্বর দ্রাবিড় মসজিদে নির্মিত ব্যাস জির বেসমেন্টে ব্রহ্মম বেলায় পূজা পরিচালনা করেন। রীতি অনুযায়ী মঙ্গলা গৌরীর পূজা করা হয়। ৩১ বছর পর আবারও জ্ঞানবাপী ক্যাম্পাসে পূজা শুরু হয়েছে। ১৯৯৩ সালের নভেম্বরে সেখানে পুজো বন্ধ করতে ব্যারিকেডিং করা হয়েছিল। বুধবার বারাণসী আদালত হিন্দুদের ব্যাস বেসমেন্টে পূজা করার অনুমতি দিয়েছে। এরপর রাতেই ব্যারিকেডিং সরিয়ে পূজার ব্যবস্থা করা হয়।
মধ্যরাতের পর বেসমেন্ট থেকে ব্যারিকেডিং অপসারণ কমিশনার কৌশলরাজ শর্মা, পুলিশ কমিশনার মুথা অশোক জৈন এবং ডিএম এস রাজালিঙ্গম সহ শীর্ষ প্রশাসনিক ও পুলিশ আধিকারিকরা রাত ১১:৩০ টায় জ্ঞানবাপী ক্যাম্পাসে পৌঁছেছেন। সেখানে দক্ষিণ বেসমেন্টে পুজো নিয়ে জেলা জজের নির্দেশের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন সবাই। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেসমেন্টের সামনের লোহার ব্যারিকেডিং অপসারণ করা হয়। পরিষ্কারের পর সেখানে পুজো হয়। বেসমেন্টের রিসিভার/ডিএম, এস রাজালিঙ্গম, যিনি রাত ১:৩০ টার দিকে প্রাঙ্গন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে, "আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে চলেছি।"
একই সঙ্গে বিশ্বনাথ মন্দির এলাকাসহ গোটা জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশ্বনাথ ধাম ও আশেপাশের এলাকায় রাতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের কয়েকটি থানা থেকেও শহরে বাহিনী ডাকা হয়েছে। গোদাউলিয়া থেকে দশাশ্বমেধ এবং গোদৌলিয়া থেকে বুলনালার মধ্যে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জ্ঞানবাপী ক্যাম্পাসের দক্ষিণ বেসমেন্টে পূজা ও রাগভোগ সংক্রান্ত জেলা জজ আদালতের নির্দেশ পালনে নয় ঘন্টার মধ্যেই তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। বুধবার বেলা ৩টার দিকে আদালতের সিদ্ধান্ত আসে যখন কমিশনার ও অন্যান্য আধিকারিকরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রাঙ্গণে পৌঁছান। রাত ১টার পর বেসমেন্টের সামনের ব্যারিকেডিং অপসারণ করা হয়। এ সময় সেখানে শুধু আধিকারিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment