জানেন কী কী থেকে হয় ডাস্ট অ্যালার্জি? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 26 February 2024

জানেন কী কী থেকে হয় ডাস্ট অ্যালার্জি?


জানেন কী কী থেকে হয় ডাস্ট অ্যালার্জি? 


প্রদীপ ভট্টাচার্য, ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, কলকাতা: শুধুমাত্র ধুলোবালির কারণেই হয় না ডাস্ট এলার্জি! বরং এর পিছনে দায়ী এই সকল জীবগুলিও। জানেন কি, কি থেকে হয় ডাস্ট এলার্জি? এর থেকে মুক্তি পাবেন কিভাবে? জেনে নিন সবিস্তারে। 


বর্তমানে ৮ থেকে ৮০ সকলেই কমবেশি এলার্জিজনিত অসুখে আক্রান্ত। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে ধরা হয় আবহাওয়া। বর্তমানে যেভাবে গরম ও দূষণ বেড়েছে তাতে এমন হওয়াটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। আর তাই সারা বছরই সর্দি-কাশি হাঁচি হতেই থাকে। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট এসব তো আজকাল খুবই সাধারণ। মূলত এলার্জি সৃষ্টিকারী অনুজীবগুলি খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না। তাই ধুলোতে উপস্থিত এইসব ছোট কণা সরাসরি শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে হাঁচি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। ধুলোবালি ছাড়া আশেপাশে থাকা পোকামাকড় থেকেও হতে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। জানেন কোথা থেকে কি কি সমস্যা হয়?


সব বাড়িতেই ছোট ছোট পোকামাকড় থাকে। গদি, বালিশ, কার্পেট, আসবাবপত্র, খেলনায় ধুলো বেশি পরে। ফলে সেখানেই নিজের জন্য লুকিয়ে থাকার জায়গা খুঁজে নেয় এরা। আর ঘরের মধ্যে ধুলো, পোকামাকড় অ্যালার্জিনগুলিকে আরও বেশি করে আকৃষ্ট করে। ফলে বছরের যে কোনও সময় অ্যালার্জি হতে পারে। আর এই এলার্জি বাড়তে থাকে, কমে না। সর্দি, নাক চুলকানো, কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া একাধিক সমস্যা এই এলার্জি হলে হয়। ধুলোবালি থেকে এলার্জির সমস্যা হলে এবং দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরো বেশি বাড়ে। শ্বাসকষ্ট এবং এলার্জির সমস্যা একসঙ্গে হলে তো কোনও কথাই নেই। এছাড়া অনেকেরই ফুলের পরাগ থেকেও এলার্জির সমস্যা হয়। আর এই লক্ষণ কিন্তু বছর ভোর থেকেই যায়। এর সঙ্গে যদি দোসর হয় ধুলোবালি তাহলে তো কোনও কথাই নেই। বাড়ির মধ্যে থেকেও তখন এই এলার্জি হতে পারে। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ঘরে ধুলোবালি জমলেও বুঝতে পারেন না। তবে বছর ভোর হাঁচি, কাশি, চুলকানি ইত্যাদি লেগে থাকলে তাকে হালকা ভাবে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। না হলে জোরালো বিপদে পড়তে পারেন। এখন এলার্জি থেকে দূরে থাকতে কি কি নিয়ম মেনে চলতেই হবে জেনে নিন। 


নিয়মিত গরম জলে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কুশন কভার এসব ধুতে হবে। নিয়ম করে পর্দা কাচতে হবে। বিছানার চাদর প্রতি সপ্তাহে কাচতে দেবেন। অ্যালার্জেন প্রুফ ম্যাট্রেস ব্যবহার করতে হবে। ঘন ঘন আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করুন। ঘরের ভেতরের আর্দ্রতা যেন বেশি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad