জানেন কী বিশ্বে প্রথম চু-মু কোথায় খাওয়া হয়?
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৮ ফেব্রুয়ারি: একে অপরকে যারা ভালোবাসেন, তারা তাদের ভালোবাসা দেখানো বা প্রকাশের জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন। এই উপায়গুলির মধ্যে একটি হল আপনার সঙ্গীকে চুম্বন করা বা চুমু খাওয়া। কিন্তু কখনও কি মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, ভালোবাসা দেখানোর এই উপায় কোথা থেকে এল? চুমু খেয়ে কে প্রথমবার বিশ্বকে বলেন যে আপনি আপনার সঙ্গীর প্রতি এভাবেও ভালোবাসা দেখাতে পারেন? আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক চুমুর সম্পূর্ণ ইতিহাস। এর সাথে, জেনে নেওয়া যাক যে, পৃথিবীতে প্রথমবার কে কাকে চুমু খেয়েছিলেন।
চুমুর ইতিহাস
আগের বছর চীনের সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি অনলাইন এ নিয়ে একটি দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। এই নিবন্ধে দাবী করা হয়েছিল যে বিশ্বে প্রথমবারের মতো চুম্বন অন্য কোথাও নয় বরং চীনে করা হয়েছিল। এই সংবাদপত্রটি দাবী করেছিল যে, প্রথম চুম্বন হয়েছিল চীনের হান রাজবংশে। তবে এই দাবীর পক্ষে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। কিন্তু চীনা প্রেমিকদের পুরনো কিছু ছবি দেখে অনুমান করা যায়, সেখানে চুমু খাওয়ার রীতি ছিল।
সংবাদপত্রের দাবী অনুযায়ী, বিশ্বে চুম্বনের প্রথা প্রথম শুরু হয় প্রায় ২০০০ বছর আগে চীনে। এরপর এখান থেকেই প্রেমিক/প্রেমিকার চুমু খাওয়ার প্রবণতা শুরু হয়। যদিও, ১৭ শতকে, যখন বিশ্ব প্লেগ রোগে ভুগছিল, ব্রিটেন সহ অনেক দেশ একে অপরকে চুম্বন নিষিদ্ধ করেছিল।
চুমুর উপকারিতা
বিশেষজ্ঞদের দাবী, চুম্বন শরীরে সুখী হরমোন নিঃসরণ করে, যা আমাদের মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তামুক্ত করে। এ ছাড়া চুম্বন পরস্পরের প্রতি আস্থা বাড়ায়। নিশ্চয়ই দেখেছেন যে, আপনি যখন কোনও পোষ্যর কপালে চুম্বন করেন তখন প্রাণীটি তার লেজ নাড়ায়। মানুষের সাথেও একই ঘটনা ঘটে, যখন আপনি একটি শিশু বা আপনার সঙ্গীর কপালে প্রেমের সাথে চুম্বন করেন, তখন সে এটি পছন্দ করে এবং উভয়ের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয়।
No comments:
Post a Comment