শ্বশুরবাড়িতে সিঁধ কেটে ঢুকে স্ত্রীকে কোপ! থানায় নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১১ ফেব্রুয়ারি: শ্বশুর বাড়ীর ঘরের সিঁধ কেটে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপালো স্বামী। স্বামীর শাস্তি চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ স্ত্রী। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার।
আট বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার অম্বরপুরের বাসিন্দা গৌতম বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বাগদা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা পায়েল বিশ্বাসের। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান আছে। অভিযোগ, বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিয়ে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করত স্বামী গৌতম। জ্বালাতন সহ্য করতে না পেরে দুই মাস আগে বাগদার কাশিপুর মধ্যপাড়াতে বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন পায়েল। একাধিক বার বাড়িতে ফেরার জন্য ফোনে আনুরোধ জানিয়েছিল স্বামী কিন্তু পায়েল স্বামীর বাড়িতে ফিরতে অস্বীকার করেন।
অভিযোগ গত ৬ ই ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে পায়েলের বাপের বাড়িতে এসে রান্নাঘরের পিছন দিয়ে সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে জামাই গৌতম। রাতে জল খেতে উঠে স্বামীকে দেখেই চমকে যায় পায়েল, ভয়ে ঠাকুমার দিকে সরতে গেলেই ছুরি নিয়ে পায়েলের ওপরে চড়াও হয় স্বামী গৌতম। একাধিক কোপ চালাতে থাকে, পায়েল হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার হাতে পায়ে একাধিক জায়গায় কোপ লাগে। পায়েলের চিৎকার চেঁচামেচিতে উঠে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বুঝতে পেরে বাইক ফেলে চম্পট দেয় স্বামী গৌতম। গুরুতর আহত অবস্থায় পায়েলকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার শারিরীক অবস্থায় স্থিতিশীল।
পরবর্তীতে ৭ তারিখে পায়েল বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৌতম সহ তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে পায়েল বলেন, 'বাবার বাড়ি থেকে একাধিকবার স্বামীকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু টাকার জন্য প্রায়ই আমাকে মারধর করত। সাম্প্রতিক সহ্য করতে না পেরে আমি বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলাম। গত ৬ তারিখ রাতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ছুরি নিয়ে আমার ওপরে চড়াও হয়। আমি এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি, আমি চাই স্বামীর শাস্তি হোক।'
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা জানিয়েছেন, জামাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
No comments:
Post a Comment