১০০ দিনের টাকা ঢুকতেই কাটমানি দাবী! কাঠগড়ায় সুপারভাইজার
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০৭ মার্চ: শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের টাকা ঢুকতেই কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ স্থানীয় সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। দিতে না চাইলে হুমকি এবং মারধর। মালদার চাঁচল ১ নং ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বসন্তপুর গ্রামের ঘটনা। কাঠগড়ায় ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার শেখ সাহেব। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন স্থানীয় দুই শ্রমিকের পরিবার। প্রশ্ন উঠেছে এক্ষেত্রে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে। তবে কি তাদের মদতেই চলছে এই দুর্নীতি! বিরোধীদের গলাতেও কটাক্ষের সুর। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর।
উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগেই টাকা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র সরকার। বারবার বঞ্চনার অভিযোগ তুললেও হিসাব দেয়নি রাজ্য। ভোটের প্রাক্কালে সেই বকেয়া টাকার ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকার মেটাচ্ছে, যার মধ্যেও এবার দুর্নীতির ছায়া। শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ স্থানীয় সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। দিতে না চাইলে হুমকি এবং মারধর। মালদার চাঁচলের উত্তর বসন্ত পুর এলাকার ঘটনা।
উত্তর বসন্তপুর এলাকার জব কার্ড ধারী শ্রমিক আব্দুল জব্বার, নুরজাহান বিবির একশো দিনের মাটি কাটার টাকা ঢুকেছে। কারও অ্যাকাউন্টে চার হাজার আবার কারও অ্যাকাউন্টে আট হাজার টাকা ঢুকেছে। অভিযোগ, চলতি মাসের ১ তারিখে অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকতেই ১০০ দিনের সুপারভাইজার শেখ সাহেব তাদের কাজ থেকে সেই টাকা চাইছে, সম্পূর্ণ টাকা সুপারভাইজারকে দিতে হবে। কিন্তু সেই টাকা দিতে না চাওয়াই শ্রমিকের পরিবারকে হুমকি এবং মারধরের অভিযোগ উঠল সুপারভাইজার শেখ সাহেবের বিরুদ্ধে। টাকা না পেলে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা নিয়ে চাঁচল থানায় লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন দুই শ্রমিকের পরিবার।
যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সুপারভাইজার শেখ সাহেবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলে কাউকেও ১ টাকা কাটমানি দিতে হবে না। কেউ যদি কাটমানি চায় এবং অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি মালদা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেনের।
বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা তথা উত্তর মালদার বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক আদর্শ কুমার রাম বলেন, 'এনআরজিএসে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। সুপারভাইজাররা নিজের পরিবারের লোক বা আত্মীয় স্বজনদের পাইয়ে দিয়েছে, সেখান থেকে ভাগের হিসাব হয়েছে এবং সেই ভাগ না পাওয়াতেই ওদের মধ্যে গণ্ডগোল।'
No comments:
Post a Comment