রাতের খাবারের এই ৫ অভ্যাস বদলে দেবে জীবন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০১ মার্চ: সুস্থ থাকার জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাস সঠিক হওয়া খুবই জরুরি। বলা হয় রাজার মত দুপুরের খাবার এবং ফকিরের মত রাতের খাবার খাওয়া উচিৎ। আজ এই প্রতিবেদনে রাতের খাবার সম্পর্কিত কিছু অভ্যাস সম্পর্কে বলা হচ্ছে, যেগুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে পারেন। অনেক ছোট ভুল ধীরে ধীরে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এর ফলে রোগ হয়।
আপনার যদি রাতের খাবারের অভ্যাস ঠিক থাকে, তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনি যদি উচ্চ কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে থাকেন, তাহলে রাতের খাবারের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু অভ্যাস গ্রহণ করা উপকারী হবে।
আপনার ৫ ডিনার অভ্যাস পরিবর্তন করুন
সন্ধ্যা ৭টার আগে খাবার খান- আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে রাতের খাবারের সময়ের বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রতিদিন সূর্যাস্তের আগে বা সন্ধ্যা ৭টার আগে রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। আমাদের প্রবীণরা এই অভ্যাস অবলম্বন করে দীর্ঘজীবন সুস্থ থাকেন। তাড়াতাড়ি খাওয়া হজম এবং বিপাকের ক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নতি দেখাবে। রাতে ঘুমও ভালো হবে।
তৈলাক্ত এবং ভাজা জিনিস খাবেন না - রাতের খাবারে ভাজা এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। রাতের খাবারে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে ভারী খাবার খেলে তা হজম করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। রাতের খাবারে গৃহীত চর্বি কম পিত্ত উৎপাদনের কারণে হজম হয় না, যা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রাণিজ প্রোটিন থেকে দূরে থাকুন- রাতের খাবারে প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণ করা হলে তা হজম করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় এবং এটি লিভারকেও সাপোর্ট করে না। রাতের খাবারে খাওয় প্রাণীজ প্রোটিন অন্ত্রের স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে এবং পেট সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে।
বাজরা ভিত্তিক খাবার নিন- রাতের খাবারে বাজরা ভিত্তিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এর পাশাপাশি রাতের খাবারে বরিজ, খিচড়ির মতো হালকা খাবারও রাখা যেতে পারে। এগুলি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যা হজম করা খুব সহজ এবং পেটের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এগুলো ভালো মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভাল ঘুম প্রদান করে।
বুদ্ধিমত্তার সাথে খান - দুপুরের খাবার হোক বা রাতের খাবার, আপনার সবসময় ক্ষিদের তুলনায় একটু কম খাওয়া উচিয়। বিশেষ করে যখন রাতের খাবারের কথা আসে, তখন খাবারের ক্ষেত্রে কিছুটা বিচক্ষণতা দেখানো জরুরি। কোনও কিছু সুস্বাদু মনে হলেও তা বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। রাতের খাবার সবসময় পুষ্টিকর হওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment