'ইডি -সিবিআই কাঁচকলা করেছে', শেখ শাহজাহানের গ্ৰেফতারি প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন অভিষেক
বসিরহাট: আপাতত অশান্তির আগুন নিভেছে সন্দেশখালিতে। শেখ শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। তাঁর দুই সাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাও শ্রীঘরে। আর সন্দেশখালি কাণ্ডের পর এই প্রথমবার বসিরহাটে পা রেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "ইডি-সিবিআই কাঁচকলা করেছে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।"
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হন তিন আধিকারিক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সন্দেশখালির ত্রাস শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমি, ভেড়ি দখলের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি নারী নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। দফায় দফায় অশান্তির আগুন জ্বলে সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্তে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে ২৯ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে গ্রেফতার হন শাহজাহান। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয়। এর প্রায় মাসখানেকের মধ্যে এদিন বুধবার লোকসভা নির্বাচনী জনসভায় বসিরহাটে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ।
এদিন তিনি বলেন, "শেখ শাহজাহানকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গ্ৰেফতখর করেছে, ইডি-সিবিআই করেনি। সুদীপ্ত সেনকে ইডি, সিবিআই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গ্ৰেফতার করেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তৃণমূল। সিপিএম, বিজেপির একটা নেতা গ্রেফতার হয়েছে? ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ করেছেন কুস্তিগিররা, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে? বড় বড় পদ দিয়ে বসিয়ে রেখেছে।"
এদিন অভিষেকের বক্তব্যে উঠে আসে শিবু-উত্তমদের কথাও। তিনি বলেন, "উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাকে গ্রেফতারের পর ১৫ দিন হয়ে গিয়েছে, সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদনই করেনি। নারী নির্যাতন আটকানোও ওদের লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার করা। আমি আজ বলে দিলাম ৪দিন পর হয়তো ওদের হেফাজতে চাইবে। নাটক করবে। অশুভ শক্তি কাজ করছে বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে। ইডি-সিবিআই কাঁচকলা করেছে। আর বাংলার মানুষের কাঁচকলা করবে।" অভিষেকের হুঁশিয়ারি, 'যত ইডি- সিবিআই বাংলায় আসবে, লড়াই ততই তীব্রতর হবে।'
No comments:
Post a Comment