মাছ খাওয়ার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিন
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ মার্চ: মাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।এতে সোডিয়াম,পটাসিয়াম,আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন সি ইত্যাদির মতো অনেক ধরনের পুষ্টি রয়েছে।যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা,দৃষ্টিশক্তি ও হার্টকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।মাছ খাওয়ার উপকারিতা,মাছ খাওয়ার পর কী খাওয়া উচিৎ নয়,কখন মাছ খাওয়া উচিৎ নয়, আসুন জেনে নেই ডায়েটিশিয়ান মনিকার থেকে।
মাছে পাওয়া পুষ্টিগুণ -
এটি প্রোটিন,ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ।১০০ গ্রাম রান্না করা মাছে ২০৬ ক্যালরি,২২ গ্রাম প্রোটিন,১২ গ্রাম চর্বি এবং ৬৩ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে।এর পাশাপাশি এতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম,ভিটামিন সি এবং বি৬ পাওয়া যায়।
মাছ খাওয়ার উপকারিতা -
মাছ খেলে মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ হয়।এটি ত্বক ও চুলকেও সুস্থ রাখে।
উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস -
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে মাছ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় -
যেহেতু মাছে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে,তাই এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার কমাতে সহায়ক -
মাছে পাওয়া ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক।
হার্টের সমস্যা কমায় -
মাছের ব্যবহার কোলেস্টেরল বৃদ্ধি রোধ করে,যা পেশী শক্তিশালী রাখে এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা কমায়।
চোখ ভালো রাখে -
এতে পাওয়া ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের সমস্যা সৃষ্টি করে না।
বিরোধী বার্ধক্য সহায়ক -
মাছে পাওয়া ভিটামিন ই অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে,যা ত্বককে শুষ্ক হতে এবং মুখে বলিরেখা রোধ করে।
মাছ খাওয়ার অসুবিধা -
গর্ভাবস্থায় কিছু মাছ খাওয়া খুব ক্ষতিকারক হতে পারে।
কিছু মাছে ডিডিএ নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা শরীরে চিনি বাড়ায়।এই মাছ খাওয়ার ফলে লিভারে ফ্যাটি অ্যাসিড জমা হয় এবং স্থূলতা বৃদ্ধি পায়।
মাছ খাওয়ার সাথে সম্পর্কিত কিছু মিথ -
মাছ খাওয়ার পর দুধ খেলে সাদা দাগ হয়,এর পেছনে কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ নেই।
মাছ ও দুধ,দই ইত্যাদি একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হয়।এই সব মিথের পিছনেও কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment