সরিষার তেলের আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য জেনে নিন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 20 March 2024

সরিষার তেলের আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য জেনে নিন


সরিষার তেলের আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য জেনে নিন

সরিষার তেলের এমন আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসায় খুবই উপকারী।সরিষার তেল মালিশ শুধু সর্দি নিরাময় করে না,শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।সরিষার তেলের মালিশ স্বাভাবিকভাবেই শরীরে শক্তি যোগায়।

সরিষার তেল এমন একটি জিনিস যা প্রত্যেক বাড়িতে পাওয়া যায়।আমরা সকলেই আমাদের জীবনে সরিষার তেলের সাথে একটি দৃঢ় সম্পর্ক অনুভব করেছি তাই আমরা জানি যে এই তেলটি কতটা দরকারী এবং উপকারী।আমরা সবাই নিশ্চয়ই আমাদের বাড়িতে রান্না করা খাবারে সরিষার তেল ব্যবহার করতে দেখেছি।

কিন্তু আপনি কি জানেন যে খাবারে ব্যবহৃত সরিষার তেল আপনার ত্বক,চুল এবং জয়েন্টের ব্যথাও নিরাময় করতে পারে।  এছাড়া সরিষার তেলে কিছু ঔষধি গুণ পাওয়া যায়,যা ছত্রাকের সংক্রমণের চিকিৎসায় উপকারী এবং এটি ঠান্ডা নিরাময় করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞান আয়ুর্বেদে সরিষার তেলের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।আয়ুর্বেদ অনুসারে,শরীর নির্দিষ্ট জৈবিক শক্তির ধরন দ্বারা নিজেকে নির্ণয় করে।যাকে বলা হয় দোষ।এই দোষগুলি বাত,পিত্ত এবং কফ নামে পরিচিত।মানুষের সমস্ত শারীরিক,মানসিক এমনকি আধ্যাত্মিক ক্রিয়াকলাপ এই দোষগুলির পারস্পরিক ভারসাম্য দ্বারা নির্ধারিত হয়।

আয়ুর্বেদে কফ ও বাত কমাতে এবং পিত্ত বাড়াতে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়।আয়ুর্বেদে অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলি তৈরিতে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়।

সরিষাতে কি কি উপাদান পাওয়া যায় -

সরিষার তেলে ৬০ শতাংশ মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (MUFA),৪২ শতাংশ ইউরিকিক অ্যাসিড,১২ শতাংশ ওলিক অ্যাসিড এবং প্রায় ২১ শতাংশ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (PUFA),৬ শতাংশ ওমেগা-৩ আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড (ALA) এবং ১৫ শতাংশ ওমেগা-৬ লিনোলিক অ্যাসিড (LA) পাওয়া যায়।সরিষার তেলে পাওয়া ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ বাজারে পাওয়া অন্যান্য তেলের তুলনায় স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।

সরিষার তেলের উপকারিতা:

সর্দি,কাশি কমায় -

সরিষার তেল প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি,কাশি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।  সরিষার তেলের ভাপ নিঃশ্বাসে নিলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়।

এছাড়া সরিষার তেলে কয়েক কোয়া রসুন ও এক চামচ জোয়ান গরম করে তৈরি মিশ্রণ দিয়ে পা ও বুকে মালিশ করলে সর্দি,কাশি থেকে দারুণ উপশম পাওয়া যায়।এছাড়া সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের ওপরও সরিষার তেলের ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়।

জয়েন্টে ব্যথা এবং ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসায় কার্যকর -

আয়ুর্বেদ বলে যে সরিষার তেল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমকারী।এটি অবিলম্বে ফোলা কমায় এবং এর ম্যাসাজ জয়েন্ট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।যেহেতু এই তেলটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ এবং সারা শরীরে রক্ত ​​প্রবাহকে উদ্দীপিত করে,তাই এটি দিয়ে প্রতিদিন ম্যাসাজ করলে বাতের ব্যথা থেকে দারুণ উপশম পাওয়া যায়।

এছাড়াও সরিষার তেলে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ফুসকুড়ি,চুলকানি, অ্যালার্জি ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরণের চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

সরিষার তেল একটি প্রাকৃতিক উদ্দীপক -

সরিষার তেল একটি অত্যন্ত শক্তিশালী উদ্দীপক।এর উদ্দীপক প্রভাব শরীরের শারীরিক এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে,যার ফলে মানুষের শক্তি বৃদ্ধি পায়।এছাড়া সরিষার তেল খেলে লিভার ও প্লীহা থেকে পিত্ত ও পাচক রস নির্গত হয়,যা পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়।

সরিষার তেল রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে -

সরিষার তেল দিয়ে শরীরে আয়ুর্বেদিক ম্যাসাজ করলে রক্ত ​​চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের গঠন ও পেশীর টান উন্নত হয়।  এটি ঘাম গ্রন্থিগুলিকেও উদ্দীপিত করে,যা শরীর থেকে দূষণ দূর করে।ফলস্বরূপ,সরিষার তেল দিয়ে প্রাকৃতিক ম্যাসাজ শরীরকে বিশুদ্ধ করে এবং আমাদের রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায়।

সরিষার তেল ফাটা গোড়ালি ও নখকে স্বাস্থ্যকর করে -

সরিষার তেল দিয়ে ফাটা গোড়ালি মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।এছাড়া শীতে ফাটা নখে বা কুঁচকে যাওয়া ত্বকে সরিষার তেল লাগালে জাদুকরী ফল পাওয়া যায়।শীতকালে যদি একজন মানুষের সামান্য পরিমাণ সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকে তবে তাকে অন্য কিছুর উপর নির্ভর করতে হবে না।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad