গ্রীষ্মকালে কেন হয় কোষ্ঠকাঠিন্য?কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 31 March 2024

গ্রীষ্মকালে কেন হয় কোষ্ঠকাঠিন্য?কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন


গ্রীষ্মকালে কেন হয় কোষ্ঠকাঠিন্য?কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১ মার্চ: কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা যার মুখোমুখি হতে হয় সবাইকে।কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘদিন ধরে থাকলে তা শরীরে অনেক বড় রোগের জন্ম দিতে পারে।গরমে মানুষ প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে।শরীরের জলশূন্যতা থেকে শুরু করে সঠিক খাবার না খাওয়া এবং ব্যায়াম না করা এর পেছনে সাধারণ কারণ থাকতে পারে।

আপনিও যদি গ্রীষ্মে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে প্রথমে এর পিছনের কারণটি দূর করার চেষ্টা করুন এবং তারপর আপনার জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন।

গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ -

জলের অভাব: 

গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে জলের অভাব হয়।জলের অভাবে মল শুকিয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। 

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া: 

গ্রীষ্মে লোকেরা ক্ষুধা হারায় এবং ফল,শাক-সবজি ও গোটা শস্যের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কম খায়।ফাইবার মলত্যাগ সহজ করতে সাহায্য করে।

ব্যায়ামের অভাব: 

গ্রীষ্মে লোকেরা ব্যায়াম কমিয়ে দেয়,যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের দিকে পরিচালিত করে।

ওষুধ: 

কিছু ওষুধ খেলে তার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

গর্ভাবস্থা: 

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

স্বাস্থ্যের অবস্থা: 

কিছু স্বাস্থ্য অবস্থা যেমন ডায়াবেটিস,ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) এবং হাইপোথাইরয়েডিজমও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।

গরমে কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোর উপায় -

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন: 

গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ লিটার জল পান করা উচিৎ। 

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: 

ফলমূল,শাক-সবজি এবং গোটা শস্য খান।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন: 

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন: 

আপনি যদি কোনও ওষুধ খান এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়,তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: 

গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া উপায় -

সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

এক গ্লাস দুধে এক চামচ ফ্ল্যাক্সসিড পাউডার মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন।

ফল এবং সবজির রস পান করুন।

গোটা শস্য থেকে তৈরি রুটি খান।

দই ও বাটারমিল্ক খান।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad