ফেলে দেবেন না বাদামের খোসা
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২০ মার্চ: আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে বাদাম খেলে বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হয়।এছাড়া এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।এই কারণেই লোকেরা এটিকে তাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।তবে বেশিরভাগই আমরা বাদাম খাই এবং এর খোসা ফেলে দেই।যার কারণ তথ্যের অভাব।আমরা জানি না বাদামের খোসার অনেকগুলি নিরাময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এটি সর্বদা পেট পরিষ্কার রাখে।এর পাশাপাশি চুলের আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।এছাড়া হার্ট সংক্রান্ত রোগেও এটি খুবই উপকারী।তাই আমরা যদি এটি ডাস্টবিনে ফেলে দেই তাহলে বুঝবেন আমরা নিজেদের কতটা ক্ষতি করছি।আসুন জেনে নেই কিভাবে বাদামের খোসা খাওয়া যায়।
বাদামের খোসার লাড্ডু:
উপাদান -
১ কাপ শুকনো বাদামের খোসা,
১\২ কাপ ফ্লেক্সসিড,
১\৪ কাপ ঘি,
১\২ কাপ গুড় বা চিনি,
১\৪ কাপ নারকেল কোরা।
কীভাবে তৈরি করবেন -
একটি মিক্সারে শুকনো বাদামের খোসা এবং ফ্লেক্সসিড পিষে গুঁড়ো তৈরি করুন।
এবার একটি প্যানে ঘি গরম করুন।এতে তৈরি করা গুঁড়ো দিন।
তারপর অল্প আঁচে ভালো করে মিশিয়ে নিন।এবার এতে গুড় দিন এবং গুড় গলে যাওয়া পর্যন্ত মেশান।এরপর গ্যাস বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন।মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে এতে নারকেল কোরা দিন।তারপর লাড্ডু তৈরি করুন।
গরম দুধ দিয়ে পান করুন:
বাদামের খোসা পিষে গুঁড়ো তৈরি করতে নিন।এটিকে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন এবং প্রতিদিন সকালের খাবারে গরম দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন।এতে উপস্থিত ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের উপকার করে এবং পেট সম্পর্কিত রোগগুলিকে মূল থেকে দূর করে।প্রতিদিন এটি পান করলে আপনি সব ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকবেন।
বাদামের খোসার চাটনি:
বাদামের খোসা থেকে চাটনি বানিয়ে খেতে পারেন।এজন্য প্রথমে তেলে ১ কাপ ভেজানো চিনাবাদাম,১ চামচ উরদ ডাল এবং ১ কাপ বাদামের খোসা দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন।
এরপর এটি ঠাণ্ডা হতে দিন।এবার কাঁচা লংকা ও আদা-রসুনের পেস্ট দিয়ে ভালো করে মেশান।তারপর স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিন।এবার গ্রাইন্ডারে পিষে নিন। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু চাটনি,যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার দেবে।
উদ্ভিদের জন্য উপকারী:
খুব কম লোকই জানেন যে বাদামের খোসার প্রোবায়োটিক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা উদ্ভিদের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
এই প্রিবায়োটিকগুলি একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে উন্নীত করে,যা খাদ্যের বর্জ্য হজম করে পুষ্টিকে আরও ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
উপরন্তু,অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি ফ্রি র্যাডিকেলগুলি মেশানোর মাধ্যমে উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে,যা উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এটিতে বিপাক এবং ভিটামিন ই বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রয়েছে যা উদ্ভিদের জন্য সহায়ক বলে বিবেচিত হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment