শরীরের জন্য উপকারী পিতলের বাসনে খাবার খাওয়া
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৩ মার্চ: ডাঃ হেমন্ত চৌধুরী বলেছেন যে,কাঁসা এর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে খাবারকে বিশুদ্ধ করে।বিশুদ্ধ খাবার পরিপাকতন্ত্রকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে,যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ইউপির মোরাদাবাদ সারা বিশ্বে ব্রাস সিটি নামে পরিচিত। এখানকার তৈরি পিতলের পণ্য দেশে ও বিদেশে রপ্তানি হয়। এখানকার কারিগররা এই পণ্যগুলিকে উন্নত করার জন্য কাজ করে।তারা সুন্দর খোদাই দিয়ে এগুলো আরও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।এই কারণেই এখানকার পণ্যের দেশে বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।পিতলের পাশাপাশি কাঁসার বাসনও প্রস্তুত করা হয় পিতলের শহর মোরাদাবাদে।বিশেষজ্ঞদের মতে,এসব পাত্রে খাবার খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়।
জেলা হাসপাতালে দায়িত্বরত ডাঃ হেমন্ত চৌধুরী বলেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য সুস্থ পরিপাকতন্ত্র অপরিহার্য।পিতল একটি সংকর ধাতু,যা এর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে খাদ্যকে বিশুদ্ধ করে।বিশুদ্ধ খাবার পরিপাকতন্ত্রকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
পিতল তাপের একটি ভালো পরিবাহী এবং তাপকে ভালোভাবে ধরে রাখে যা খাবার এবং তাদের পুষ্টিগুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য অক্ষত রাখে।পিতলের পাত্রের নিয়মিত ব্যবহার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে,যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।পিতলের পাত্রে অন্তত ৮ ঘণ্টা রেখে জল পান করলে শরীরের তিনটি দোষের(বাত,পিত্ত ও কফ)ভারসাম্য বজায় থাকে।এটি স্থূলতা কমাতে,দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং ত্বকের অবস্থার উন্নতিতেও সাহায্য করে।আয়ুর্বেদ অনুসারে এটি বুদ্ধিকেও তীক্ষ্ণ করে।
পিতল ব্যবসায়ী ফরমান জানান,বর্তমানে নানা ধরনের রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে,যার কারণে মানুষ পিতলের পাত্রে খাবার খেতে পছন্দ করছে।পিতলের ভিতরে তামা ও টিন রয়েছে,যাকে তামা ও রাঙ্গাও বলা হয়।আগেকার যুগে মানুষ টিন দিয়ে কলাই করা তামার পাত্রে খাবার খেতেন।এখন এসব জিনিস গলিয়ে পিতল প্রস্তুত করা হয়,যার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ফরমান আরও বলেন,মানুষ বিশ্বাস করে এসব পাত্রে খাবার খাওয়া পেটের রোগ সারাতে সাহায্য করে,শ্বাসকষ্টের রোগ নিরাময় করা যায়।তিনি বলেন,যারা সচেতন অথবা যারা নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন,তারা এসব পাত্রে খাবার খেতে পছন্দ করেন।এর পাশাপাশি অনেক রোগ আছে যা সেরে যায়। আজকাল এই পাত্রের চাহিদাও বাড়ছে।এটি যোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment