গার্ডেনরিচে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪, গ্রেপ্তার প্রোমোটর
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৮ মার্চ, কলকাতা : রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারজনে। গার্ডেনরিচ মামলায় একজন প্রোমোটারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধসে পড়া বহুতল ভবনের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিনীত গয়াল বলেন, "গতকাল থেকে উদ্ধার কাজ চলছে। আশা করছি শীঘ্রই সবাইকে উদ্ধার করা যাবে।" অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে মহম্মদ ওয়াসিম নামে এক প্রোমোটারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে কপালে ব্যান্ডেজ বেঁধে গার্ডেনরিচে দুর্ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, অভিযুক্ত প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার মধ্যরাতে কলকাতা পৌরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে গার্ডেনরিচের মোল্লাবাগান এলাকায় গার্ডেনরিচ ভবনটি ধসে পড়ে। ওই বহুতল ভবনের চারপাশে অনেক ঝুপড়ি ছিল। তাদের ওপর বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ধসে পড়া বহুতল ভবনটি সম্প্রতি নির্মাণাধীন ছিল। গার্ডেনরিচ ৫ এখনও ধ্বংসাবশেষের নিচে। উদ্ধার কাজ চলছে। এই বিপর্যয়ের পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে আসেন। সরু গলি, ঝুপড়ি, খড়ের ঘর, মাঝখানে পাঁচতলা উঁচু দালান। মাঝরাতে বিল্ডিংটি ভেঙে পড়ে। স্থানীয় লোকজন জানান, একটি দোতলা বাড়ির ভিত্তি তৈরি করে পাঁচ তলা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি পায়নি পুরসভা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পৌর কর্পোরেশনের আইন অমান্য করে মেয়র এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ উঁচু ভবন।
ধসে পড়া বহুতল ভবনটি সম্প্রতি নির্মাণাধীন ছিল। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাম আমলের কাঁধে বেআইনি নির্মাণের দায় চাপিয়ে দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, এই বাড়ি প্ল্যান থাকতে পারে না। যারা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এত বড় বাড়ি এত সরু রাস্তায় হয় না। কেন অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে, সেটাই বিস্ময়। সব জায়গায় নজরদারি করা সম্ভব না।"
No comments:
Post a Comment