উদ্ধার ১০! গার্ডেনরিচে ধ্বংসস্তূপে আরও ২ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৯ মার্চ, কলকাতা : দুই রাত পার। ধসে পড়া বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও দু'জন আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ জনকে। কিন্তু রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ বন্ধ করতে হয় এনডিআরএফকে।
পর্যাপ্ত আলোর অভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এনডিআরএফ সদস্যরা ফিরে যান। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। সকালে, এনডিআরএফ-এর একটি বড় দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও উদ্ধারকাজ শুরু করেছে দুর্যোগ বাহিনী।
তবে ধ্বংসাবশেষ এখনও পুরো এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। চারিদিকে লোহার জাল, বাঁশ ও টিন আটকে রয়েছে। যা কিছু অপসারণ করা হয়েছে এবং জীবনের আশা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে কী খবর, ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়তে পারেন আরও দুজন।
ঘটনায় আহতরা এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। মেটিয়াবুরুজের একটি হাসপাতালেও বেশ কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। যাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার পর সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। রাজ্যপাল বোস মন্তব্য করেন যে পুরো বিষয়টি একটি হিউম্যান ফেলিওর।
তিনি বলেন, "এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটা হিউম্যান ফেলিওর। শীঘ্রই রাজভবনে নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হবে।" রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন যে তিনি আইআইটি খড়গপুর, সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট সহ অনেক সংস্থার সাথে দেখা করবেন। বৈঠকে ক্রেডাই-এর বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন।
রাজ্যপাল বোস আরও বলেছেন যে এটি একটি রিপোর্টের আকারে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। যদিও এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
ঘটনার পরপরই তিন ইঞ্জিনিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়। শুধু তাই নয়, এত বড় বহুতল ভবন কীভাবে ধসে পড়ল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এলাকায় কোথায় কত অবৈধ নির্মাণ হয়েছে তার তথ্যও দিতে বলা হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম সেগুলো ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর।
No comments:
Post a Comment