গার্ডেনরিচে উদ্ধার প্রোমোটরের সঙ্গীর মৃতদেহ
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২২ মার্চ, কলকাতা : গার্ডেনরিচে আরেকটি মৃতদেহ উদ্ধার। নিহত ব্যক্তির নাম শেরু। তিনি প্রোমোটার ওয়াসিমের পার্টনার ছিলেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং দমকলকর্মীরা এখনও ধ্বংসাবশেষের সন্ধান করছেন। এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড ব্রাঞ্চ। ইতিমধ্যেই নির্মাণাধীন বাড়ির প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এক সহযোগী শেরুর নাম জানতে পারে পুলিশ। তাকে তল্লাশি করা হচ্ছিল। পুলিশ ধারণা করছিল, সে হয়তো পালিয়ে গেছে বা চাপা পড়ে থাকতে পারে। ওয়াসিমের দাবী, শেরু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেছে।
ওয়াসিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে বাড়িটির কাজ চলছিল। জমির মালিক নাসির আহমেদ প্রোমোটারের কাছে তার ফ্ল্যাট প্রথমে উপরের তলায় নির্মাণের দাবী জানান। আসলে, উপরের তলার ফ্ল্যাটটি প্রথমে তৈরি করা হচ্ছিল। ঘিঞ্জি এলাকায় পাঁচ তলা বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছিল। প্রতি বর্গফুটের দাম ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ১৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কথা ছিল।
মেয়র ফিরহাদ হাকিমও স্বীকার করেছেন যে বেআইনিভাবে উঁচু ভবন তৈরি হচ্ছে। পুরো দোষ আবার বামফ্রন্টের ঘাড়ে চাপালেন তিনি। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, "বামফ্রন্ট এল কোথা থেকে? গত কুড়ি বছর ধরে পুরসভার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তৃণমূলের কাছে। সোমবার ১৫ নম্বর বোরোর তিন ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ করা হয়। প্রতিবাদ জানায় পৌর প্রকৌশলী সমিতি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভবন কর্তৃপক্ষ শুধু প্রকৌশলীদের কাঁধে দায় চাপাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment