হাড়ের ব্যথা ও ফোলায় জাদুর মত কাজ করে হরসিঙ্গার ফুলের রস, আরাম মেলে এসব রোগেও
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২২ মার্চ: হরসিঙ্গার বা শেফালি গাছ ছোঁয়া মাত্রই মন-মস্তিষ্ক আনন্দে ভরে ওঠে। এর ফুলকে বলা হয় জাদুকরী ফুল। হরসিঙ্গারকে পারিজাতও বলা হয়। এই গাছটি শুধু বাড়ির সৌন্দর্যই বাড়ায় না স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকার করে। হরসিঙ্গার ফুলে এমন ঔষধি গুণ পাওয়া যায়, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। বাতের রোগীদের হরসিঙ্গার ফুলের রস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। হরসিঙ্গার গাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী প্রমাণ করে।
আর্থ্রাইটিসে হারসিঙ্গার ব্যবহার
হরসিংগারে অ্যান্টি-রিউমেটিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এটি আর্থ্রাইটিসে খুবই কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। হরসিঙ্গার ফুলের রস পান করলে হাড় মজবুত হয় এবং জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনি চাইলে ফোলা, ব্যথা বা আঘাতের স্থানে হরসিঙ্গার তেলও লাগাতে পারেন। আপনার যদি কোনও ধরনের স্ট্রেস, আর্থ্রাইটিস, পেশিতে টান বা পেশিতে ব্যথা থাকে তাহলে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
হরসিঙ্গার ফুলের রস পানের উপকারিতা
হরসিঙ্গার ফুল, পাতা ও ডালের রস মিশিয়ে পান করলে জয়েন্টের ব্যথা উপশম হয়। এতে ফুলে যাওয়ার সমস্যা কমে। আয়ুর্বেদে এর ফুলের পেস্ট জয়েন্টে লাগালে ফোলা থেকে আরাম পাওয়া যায়। নারকেল তেলে হরসিঙ্গার তেল মিশিয়ে একটু গরম করে ম্যাসাজ করুন। এটি ফোলা থেকে অনেক উপশম প্রদান করে।
এটি সায়াটিকার ক্ষেত্রেও উপকারী
সায়াটিকার ব্যথা খুবই তীব্র এবং অসহনীয়। এতে কোমর থেকে পা পর্যন্ত প্রচণ্ড ব্যথা হয়, যার কারণে হাঁটতে অসুবিধা হয়। সায়াটিকা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হরসিঙ্গার পাতার ক্বাথ পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আপনি চাইলে শুকনো হরসিঙ্গার পাতার গুঁড়ো বানিয়ে সকাল-সন্ধ্যা জলের সাথে খেতে পারেন। এটি সায়াটিকার ব্যথা থেকে দারুণ উপশম দেবে।
বি.দ্র: শারীরিক যে কোনও সমস্যায় সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোনও ঘরোয়া টোটকা ট্রাই করার আগেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
No comments:
Post a Comment