২০২৬ থেকে দু'ভাগে হবে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 8 March 2024

২০২৬ থেকে দু'ভাগে হবে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা

 


২০২৬ থেকে দু'ভাগে হবে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা 



কলকাতা: পুরো পাল্টে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। একটা নয় দুভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। সিমেস্টার পদ্ধতিতে চালু হবে ২০২৬ থেকে।


এ বার যারা মাধ্যমিক পাশ করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে তারা এই নতুন পদ্ধতিতে ২০২৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। একাদশ শ্রেণিরও সিমেস্টার পদ্ধতিতে দু'টি পরীক্ষা হবে। সিমেস্টার চালু হওয়ায় কিছুটা বদলাবে পাঠ্যক্রমও। বুধবার বিকেলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এমনটাই জানিয়ে দিল। তবে এখন যারা একাদশ শ্রেণি থেকে দ্বাদশে উঠছে তারা অবশ্য ২০২৫ সালের নির্ধারিত পরীক্ষার সূচি অনুয়ায়ী আগের পদ্ধতিতেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।


উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব আমরা শিক্ষা দফতরকে পাঠিয়েছিলাম। শিক্ষা দফতর থেকে অনুমতি মিলেছে। এ বছরই নতুন পাঠ্যক্রমে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হচ্ছে।” কিছু দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, চলতি বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হতে পারে। এই বিষয় নিয়ে তাঁরা দ্রুত সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা দেরি হচ্ছিল বলে এ বার যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল তারা একাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শুরু করতে পারছিল না। এ বার সেই সংশয় দূর হল। তবে নতুন পাঠ্যক্রম কী হবে তা সবিস্তার জানতে চায় পড়ুয়া, অভিভাবকেরা।


চিরঞ্জীব আগেই জানিয়েছিলেন, দু'টি সিমেস্টার পরীক্ষায় উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে তার প্রথমটি নভেম্বরে, দ্বিতীয়টি মার্চে হবে। প্রথম সিমেস্টারে শুধু সঠিক উত্তর বাছাই বা এমসিকিউ এবং দ্বিতীয় সিমেস্টারে সবিস্তার উত্তর লিখতে হবে। একাদশ এবং দ্বাদশ মিলিয়ে চারটি সিমেস্টারের বদলানো পাঠ্যক্রম এবং নম্বর বিভাজন দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে।


এই সিমেস্টার পদ্ধতির বিরোধিতা করেছে বেশিরভাগ শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাদের মতে, এই পদ্ধতিতে সামগ্রিক পাঠ্যক্রম না পড়ে সামান্য কিছু বাছাই করা অংশ পড়ে উতরে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পারে। পাঠ্যক্রমের সারবত্তা হারিয়ে যাবে শিক্ষার্থীদের কাছে। শিক্ষক সংগঠনগুলির মতে, জাতীয় শিক্ষানীতিকে অনুসরণ করতে গিয়ে রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের ক্ষতি করছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সামগ্রিক পাঠ্যক্রম জানতে হয়। এ ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পাল্টা যুক্তি, দু'টি ভাগে পরীক্ষা হলে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন আরও নিখুঁত হবে। একটি সিমেস্টারে খারাপ হলে পরের সিমেস্টারে সামাল দেওয়ারও সুযোগ থাকবে। সিমেস্টারের পাঠ্যক্রমও এমন ভাবে করা হবে, যাতে উচ্চ শিক্ষায় কোনও অসুবিধা না হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad