গার্ডেনরিচে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, এখনও অনেকের ধ্বংসস্তূপের চাপা পড়ে থাকার শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৮ মার্চ, কলকাতা : গার্ডেনরিচে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯। বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং দমকল কর্মীরা সোমবার রাত পর্যন্ত ধ্বংসাবশেষে উদ্ধার কাজ চালায়। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কয়েকজন চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তাদের।
এদিকে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। সকালে নির্মাণাধীন বাড়ির প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এক সহযোগী শেরুর নাম জানতে পারে পুলিশ। তার খোঁজ চলছে। ওয়াসিমের দাবী, শেরু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
ওয়াসিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে বাড়িটির কাজ চলছিল। জমির মালিক নাসির আহমেদ প্রবর্তকের কাছে তার ফ্ল্যাট প্রথমে উপরের তলায় নির্মাণের দাবী জানান। আসলে, উপরের তলার ফ্ল্যাটটি প্রথমে তৈরি করা হচ্ছিল। ঘিঞ্জি এলাকায় পাঁচ তলা আবাসন তৈরি করা হচ্ছিল। প্রতি বর্গফুটের দাম ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ১৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কথা ছিল।
মেয়র ফিরহাদ হাকিমও স্বীকার করেছেন যে বেআইনিভাবে উঁচু ভবন তৈরি হয়েছে। পুরো দোষ আবার বামফ্রন্টের ঘাড়ে চাপালেন তিনি। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, "বামফ্রন্ট এল কোথা থেকে? গত কুড়ি বছর ধরে পুরসভা তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেছিলেন যে এটি একটি অবৈধ বাড়ি। সোমবার ১৫ নম্বর বোরোর তিন প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়। প্রতিবাদ জানায় পৌর প্রকৌশলী সমিতি। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরসভায় নৈরাজ্যের পরিবেশ বিরাজ করছে। মেয়র দায় এড়াচ্ছেন এবং এর জন্য প্রকৌশলীদের দায়ী করছেন। আজ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যান তিনি।
No comments:
Post a Comment