রেড মিট কি পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৬ মার্চ: রেড মিট অনেক রোগের আঁতুড়ঘর।কিন্তু এটি খেলে কি পাকস্থলীর ক্যান্সারও হতে পারে?এই বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?ব্রিটিশ হেলথ সার্ভিস এই বিষয়ে পুরো সত্যতা জানিয়েছে।
রেড মিট এবং পেটের ক্যান্সার -
রেড মিট অর্থাৎ বড় এবং ছোট প্রাণীর মাংস খেলে ক্যান্সার হতে পারে।অনেক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।তবে এটাও সত্য যে রেড মিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল। অবশ্য ভারতে এর ব্যবহার কম কিন্তু বিশ্বের সব জায়গায় রেড মিটের ব্যবহার খুব বেশি।এমন পরিস্থিতিতে এটি খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সর্বোপরি,কী পরিমাণে রেড মিট খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে?
দিনে কতটা রেড মিট খাওয়া যায় -
ব্রিটিশ হেলথ সার্ভিস তাদের গবেষণার ভিত্তিতে বলেছে, অতিরিক্ত রেড মিট খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। বিজ্ঞানও এটাকে সত্য বলে বিশ্বাস করে যে এর অতিরিক্ত খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া হলে এর থেকে বিপদ নগণ্য হয়ে যায়।তাই রেড মিট খাওয়ার নির্দেশিকা তৈরি করেছে ব্রিটিশ হেলথ সার্ভিস।এতে বলা হয়েছে যে,যারা প্রতিদিন গড়ে ৯০ গ্রাম রান্না করা রেড মিট বা প্রক্রিয়াজাত(প্রসেসড)মাংস খাচ্ছেন তাদের তা ৭০ গ্রামের কম করা উচিৎ।এটা না করলে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়বে। কিন্তু যারা ৭০ গ্রামের কম রেড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খান,তাদের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।পাকস্থলীর ক্যান্সার এড়ানোর আরেকটি উপায় হল ওজন সবসময় ভারসাম্য বজায় রাখা,বেশিরভাগ সক্রিয় থাকার চেষ্টা করা এবং সিগারেট এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা।
রেড মিটের অন্তর্ভুক্ত কি?
ছোট ও বড় প্রাণীর মাংসকে রেড মিট বলে।এর মধ্যে রয়েছে মহিষ,ভেড়া,শূকর,ছাগল,বাছুর,হরিণ ইত্যাদির মাংস।তবে রেড মিটের মধ্যে রয়েছে মুরগি,হাঁস,অনেক ধরনের ভোজ্য পাখি এবং খরগোশও।
প্রক্রিয়াজাত মাংস কী?
প্রক্রিয়াজাত মাংসও এই প্রাণীদের মাংস,তবে লবণ এবং অন্যান্য সংরক্ষণকারী ব্যবহার করে এটি ধোঁয়ায় রান্না করা হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে রাখা হয়।এটি থেকে অনেক জিনিস তৈরি করা হয়,যা প্যাকেটে সিল করা হয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য তাজা থাকে।ভারত,নেপাল ও অন্য কিছু দেশ ছাড়া প্রায় সব দেশেই প্রক্রিয়াজাত মাংস প্যাকেটে বিক্রি করা হয় যা দীর্ঘ সময় ধরে চলে।কিন্তু প্রক্রিয়াজাত মাংস রেড মিটের চেয়েও খারাপ।
No comments:
Post a Comment