কুমকুমদি তেল কী, যা লাগালে মুখের দাগ দূর হবে? জেনে নিন ব্যবহারের সঠিক উপায়
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২০ মার্চ: ত্বকের যত্নে আয়ুর্বেদিক তেলের কথা বলা হয় এবং কুমকুমদি তেলের নাম প্রায়ই নেওয়া হয়। কিন্তু এই তেল এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। মুখে ব্রণ এবং ব্রণর দাগ যদি আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করে, তবে এই তেলটি লাগালে তা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া অন্যান্য উপায়েও এই তেল মুখ সুন্দর করে। তো চলুন জেনে নিই কুমকুমদির তেল কী এবং এটি প্রয়োগ করার সঠিক উপায় কী।
কুমকুমদি তেল কি?
কুমকুমদি তেল এক প্রকার ভেষজ তেল, যার মধ্যে অনেক ভেষজ মেশানো হয়। সাধারণত মানুষ কুমকুম শব্দের অর্থ শুধু জাফরান তেল বোঝে। তবে এটি জাফরানের সাথে অন্যান্য জিনিস মিশিয়ে তৈরি করা হয়। কুমকুমদির তেলে এই জিনিসগুলো মেশানো হয়-
মঞ্জিষ্ঠা
মঞ্জিষ্ঠা এমন একটি ভেষজ, যা ত্বকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের পুষ্টি গ্রহণে সাহায্য করে।
চন্দন
চন্দন শুধু ত্বককে ঠাণ্ডা করে না, নরমও করে। এছাড়াও দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে।
পদ্ম
এই তেলে পদ্ম গাছের নির্যাস মেশানো হয়, যা চর্মরোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি স্কিন টোনকেও হালকা করে।
জাফরান
এ ছাড়া প্রধানত জাফরান মেশানো হয়, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে করা হয়।
কুমকুমদি তেল লাগানোর উপকার
কুমকুমদি তেল প্রয়োগ করলে হাইপারপিগমেন্টেশন, বলিরেখা, ফাইন লাইন এবং দাগ দূর হয়। এছাড়াও, এই তেল ত্বকের অ্যালার্জি এবং একজিমাতেও প্রভাব দেখায়।
কীভাবে কুমকুমদি তেল লাগাবেন
ত্বকে দাগছোপ যদি আত্মবিশ্বাসের মাত্রা কমিয়ে দেয়, তবে এই তেলটি লাগান। কুমকুমদি তেল লাগাতে, রাতে ঘুমানোর আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তারপর এই তেলের কয়েক ফোঁটা আপনার হাতে নিয়ে পুরো মুখে ৫-৭ মিনিট আলতো করে ম্যাসাজ করুন এবং সারারাত রেখে দিন। এই তেল লাগালে কয়েক দিনের মধ্যে দাগছোপ চলে যাবে। এছাড়া চোখের নিচের কালো দাগ এবং ত্বকের বলিরেখাও দূর হয়ে যাবে, যার কারণে টানটানতা দেখা যাবে এবং ত্বক তরুণ দেখাবে। এই তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment