নিজের দলের বিধায়কের ওপর ক্ষুব্ধ প্রজ্ঞা, বললেন দল ছাড়ার কথাও
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ মার্চ: মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বিজেপি সাংসদ আজকাল খবরে রয়েছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দল তাকে টিকিট দেয়নি। প্রজ্ঞা ঠাকুরের জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে অলোক শর্মাকে। এদিকে, তাঁকে ভোপালে তাঁর বিধায়কের ওপর ক্ষুব্ধ হতে দেখা গেছে। তাঁর ক্ষোভ এতটাই প্রবল যে তিনি দল ছাড়ার কথাও বলেন। কিন্তু কী এমন ব্যাপার তাঁকে এতটা ক্ষিপ্ত করেছিল?
আসলে ভোপালের একটি স্কুলের সামনে মদের ঠেক চলছিল। সেটাও বেআইনিভাবে। বিষয়টি জানতে পেরে সাংসদ প্রজ্ঞা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বলা হচ্ছে, এই ঠেক বিজেপি বিধায়কের, যার নাম সুদেশ রাই। প্রশাসন ও আবগারি দফতরের যোগসাজশে এই ঠেক চলছিল।
সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর তার দলের বিধায়কের এই কাজের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে একটি ঠেক চলছে, যা খুবই অন্যায়। তিনি বলেন, 'আমি বলতে লজ্জা বোধ করছি যে তিনি একজন বিজেপি বিধায়ক।' এ বিষয়ে দলের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান সাংসদ। এটা কি বিজেপির আদর্শ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদি তাই হয় তবে তিনি অবিলম্বে দল ছাড়তে প্রস্তুত।
সোমবার প্রজ্ঞা ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে নিয়েও তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যম তার বক্তব্য বিকৃত করছে। এটি তাঁর মানহানি করার জন্যও কাজ করে। তিনি বলেন যে, তিনি কিছু বলেন এবং সংবাদমাধ্যম তার টিআরপির জন্য তাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে।
উল্লেখ্য, প্রজ্ঞা তাঁর বক্তব্যের জন্য শিরোনামে থাকেন। তাঁর কারণে দলকে বহুবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময়, তিনি মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসা করেছিলেন এবং তাকে একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক বলেছিলেন। প্রজ্ঞার এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের নেতারাও তাঁর বক্তব্যের নিন্দা করেছেন।
প্রজ্ঞার বক্তব্য দলের জন্যও সংকট তৈরি করেছিল। এই বিষয়ে প্রজ্ঞার কাছে জবাব চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে হট্টগোল বাড়তে দেখে নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে, প্রজ্ঞা ক্ষমা চাইলেও তিনি তাকে হৃদয় থেকে কখনও ক্ষমা করতে পারবেন না। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে দল থেকে টিকিট না পাওয়ার পরে, প্রজ্ঞা স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বলা কিছু কথা পছন্দ করেননি।
No comments:
Post a Comment