এই শিব মন্দিরের পাথরে টোকা দিলেই শোনা যায় ডমরুর আওয়াজ! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 5 March 2024

এই শিব মন্দিরের পাথরে টোকা দিলেই শোনা যায় ডমরুর আওয়াজ!

 


এই শিব মন্দিরের পাথরে টোকা দিলেই শোনা যায় ডমরুর আওয়াজ! 



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৫ মার্চ: আমাদের দেশে ভগবান শিবের অনেক মন্দির রয়েছে এবং প্রতিটি মন্দিরের আলাদা গল্প রয়েছে। কিছু মন্দিরের নিজস্ব ইতিহাস এবং রহস্য রয়েছে। আজ এই প্রতিবেদনে হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ে অবস্থিত একটি শিব মন্দিরের কথা বলা হচ্ছে। এই মন্দিরের নাম জটোলী শিব মন্দির। এটি এশিয়ার সর্বোচ্চ শিব মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। মহাশিবরাত্রির সময় এখানে ভক্তদের প্রচুর ভিড় থাকে। জেনে নেওয়া যাক এই মন্দির সম্পর্কিত কিছু বিষয়-


 মন্দিরটি অনেক বছরে নির্মিত হয়

কথিত আছে যে শিব এই স্থানে তপস্যা করেছিলেন। পরে স্বামী পরমহংস এখানে আসেন এবং তিনিও তপস্যা করেন। তারপর কৃষ্ণ পরমহংসের আদেশে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়। কথিত আছে এই মন্দিরটি তৈরি করতে প্রায় ৩৯ বছর লেগেছিল।


 শব্দ আসে পাথর থেকে 

মন্দিরে থাকা পাথরে টোকা দিলে এক ধরণের শব্দ আসে। এই শব্দটি ডমরুর মতো শোনায়। লোকেরা বলেন ভগবান শিব এই স্থানে এসে অবস্থান করেছিলেন।


 জলাশয়ের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে

জটোলী শিব মন্দিরের কাছে একটি জলাশয়ও রয়েছে। স্বামী কৃষ্ণানন্দ পরমহংস যখন ১৯৫০ সালে এখানে এসেছিলেন, তখন সোলানে জলের অভাব ছিল। এমতাবস্থায় স্বামী কৃষ্ণানন্দ পরমহংস কঠোর তপস্যা করেন এবং তারপর শিব তাঁর ত্রিশূল দিয়ে আঘাত করে এই জলাশয় তৈরি করেন। কথিত আছে যে ত্রিশূলটি মাটিতে আঘাত করার সাথে সাথে জলের স্রোত বেরিয়ে আসে। এ কারণে এখানে জলের পুকুর তৈরি হয়েছে। কথিত আছে এই পুকুরে স্নান করলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


 কীভাবে মন্দিরে পৌঁছাবেন

 মন্দিরটি সোলানের চারদিকে সড়কপথে সংযুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে এখানে পৌঁছানোর জন্য ট্রেন বা প্লেনে চণ্ডীগড় পৌঁছানো যায়। এখান থেকে বাস বা ট্যাক্সিতে করে সোলান যেতে পারেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad