সন্দেশখালি কাণ্ড ও নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার যোগ নেই
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ০৪ মার্চ: সন্দেশখালির শাহজাহান বাহিনীর নারী নির্যাতনকে কেন্দ্র করে বারাসতে সভা করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের লাগু করার বিষয় নিয়েও তিনি কিছু বলবেন না। দেশের মহিলাদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের সাফল্য আর রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের হাতে রাজ্য জুড়ে মহিলাদের লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয় নিয়ে বিজেপির সভা। সোমবার বিকেলে বারাসতের কাছারি মাঠ পরিদর্শনে এসে এমন দাবী করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং মহিলা মোর্চার মুখপাত্র বৈজন্ত পান্ডা ওরফে জয় পাণ্ডা।
আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর ৬ তারিখ বারাসতে বিজেপির মহিলা মোর্চার সমাবেশে যোগ দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সোমবার কাছারি ময়দানে আসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং মহিলা মোর্চার মুখপাত্র বৈজন্ত পান্ডা ওরফে জয় পাণ্ডা, রাজ্য নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনী পাত্রসহ জেলা স্তরের নেতৃত্ব।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবী, মহিলা মোর্চার ব্যানারে এই সভা হলেও বিজেপির সমস্ত সংগঠনই এর পিছনে রয়েছে। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, লাখপতি দিদি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীর উন্নয়ন মূলক কাজ তুলে ধরা হবে সভা থেকে । বৈজন্ত পান্ডা বলেন, "দেশে ২ লক্ষ নারী আছেন যারা বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমেএবং সরকারের সহায়তায় লাখপতি হয়েছেন। সংখ্যা ৩ থেকে ৪ কোটি বাড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।"
রাজ্যনেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন "সন্দেশখালির ঘটনার সঙ্গে বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার সরাসরি কোনও যোগ নেই।"
মার্চের প্রথম সপ্তাহে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের লাগু করতে পারে তা নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে। তবে এ বিষয় নিয়ে আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেননি। মতুয়া সমাজ ছাড়াও উদ্বাস্তুদের অনেকেই অপেক্ষা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী কিছু বলবেন। মতুয়া সমাজের অনেকেই বারাসতের সভার দিকে তাকিয়ে আছেন। বিজেপি নেতা বৈজন্ত পান্ডা ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ফলে যা বলার এবং করার তিনিই বলবেন। বারাসতের সভা দেশের মহিলাদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। "
তাদের আরও দাবী, সভায় শুধু পশ্চিমবঙ্গের নারীরা নয়, গোটা দেশের মা-বোনেরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সভার সাথে যুক্ত হবেন। পশ্চিমবঙ্গে নারীদের অনেক সমস্যা রয়েছে। রাজ্যে প্রায়ই নানা ঘটনা ঘটে থাকে।সন্দেশখালিতে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দাজনক। ওই ঘটনার বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে আওয়াজ উঠেছে।
বৈজন্ত পান্ডা বলেন, "সন্দেশখালি সহ রাজ্যের সব জায়গা থেকেই নারীরা এই সবাই উপস্থিত হবেন। নারী শক্তি বন্ধন সমাবেশের সাথে সন্দেশখালীর প্রত্যক্ষ কোনও যোগ নেই।"
No comments:
Post a Comment