ডিম দেওয়া মুরগির পরিচর্যা! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 18 March 2024

ডিম দেওয়া মুরগির পরিচর্যা!



ডিম দেওয়া মুরগির পরিচর্যা!



রিয়া ঘোষ, ১৮ মার্চ : প্রাকৃতিকভাবে মুরগিকে সুস্থ রাখতে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বুঝতে হবে।  আর এই বিষয়গুলো জানা থাকলে খুব সহজেই কোনও খরচ ছাড়াই মুরগি পালন করতে পারবেন।  বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল-



মুরগি লালন-পালনের ক্ষেত্রে কী করবেন?


 ১. মুরগিকে সবসময় বিশুদ্ধ জল দিতে হবে।  গরমের সময় ঠাণ্ডা, বিশুদ্ধ জল দিতে হবে।  জীবাণুনাশক প্রায়ই জল যোগ করা যেতে পারে।  জল দেওয়ার পর মুরগির মেঝে বা লিটার যেন ভিজে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


  ২. প্রতি ৫-৬টি মুরগির জন্য একটি ডিম পাড়ার বাক্স ঘরের মেঝে থেকে ৮-১০ ইঞ্চি উপরে রাখতে হবে।  ডিম পাড়ার বাক্সে ৩-৪ ইঞ্চি পুরু লিটার ব্যবহার করতে হবে যাতে ডিম ভেঙ্গে না যায়।  নিয়মিত বিরতিতে লিটার পরিবর্তন করতে হবে।


  ৩. ওজন ১৪০০-১৫০০ গ্রাম পৌঁছলে মুরগি ডিম পাড়া শুরু করে।  মনে রাখতে হবে মুরগির শরীরের ওজন যেন ২৫-৫০ গ্রামের বেশি না বাড়ে।  শরীরে চর্বি জমলে ডিমের পরিমাণ কমে যায়।


  ৪. মুরগির খাবারের পাত্রে সপ্তাহে একবার পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এবং জলের দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ।


  ৩. ডিম পাড়ার সময় প্রাকৃতিক আলো ছাড়াও কৃত্রিম আলোরও প্রয়োজন হয়।  প্রাকৃতিক আলো এবং কৃত্রিম আলোর মোট সময় প্রায় ১২ ঘন্টা + ৫ ঘন্টা = ১৭ ঘন্টা আলো প্রয়োজন।  সকাল ও সন্ধ্যায় এই কৃত্রিম আলো দিতে হবে।


  ৫. মুরগি এবং মোরগের অনুপাত ৫:১ হওয়া উচিৎ।


  ৬. ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য, ফ্রি-রেঞ্জ এবং খামারে উত্থিত মুরগিকে ভিটামিন এবং খনিজ লবণের সাথে খাবারের স্ক্র্যাপ, পোকামাকড়, সবজির খোসা, আটা, চাল, ছোট শস্য, ভাতের মাড় ইত্যাদি খাওয়ানো হয়।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad