স্ত্রী পেতে হলে খেতে হবে চাবুকের আঘাত
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৩ মার্চ:
বিশ্বে এখনো এমন অনেক জাতির মানুষের বসবাস রয়েছে যারা আধুনিক বিশ্ব থেকে যোজন যোজন দূরে।তাদের মধ্যে আধুনিকতার ছিটেফোঁটাও লাগেনি।নিজেদের পূর্বপুরুষের তৈরি করা সেসব রীতিনীতি,প্রথা এখনও মেনে চলছেন তারা। বিশেষ করে আফ্রিকান উপজাতিদের নানান সংস্কৃতি বিশ্বকে এখনো অবাক করে চলেছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তারা তাদের বিভিন্ন সংস্কৃতি পালন করে যাচ্ছে।
তবে এসব উপজাতির পুরুষদের বিয়ে করতে নানান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়। পরীক্ষা দিতে হয় ধৈর্য,পুরুষত্ব আর সহ্যের সীমা কতটুকু আছে সেটাও। এসব উপজাতির পুরুষের স্ত্রী পাওয়া এত সহজ ব্যাপার নয়। রীতিমতো যুদ্ধ করে বউ জয় করতে হয় তাদের।যেমন ধরুন-পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়ার ফুলানি উপজাতিরা,একজন ফুলানি পুরুষকে বিয়ে করতে হলে তার ধৈয্যের পরীক্ষা দিতে হয়। এরজন্য তাদের শরীরে মারা হয় চাবুকের বাড়ি। যতক্ষণ সে এই আঘাত সহ্য করতে পারবে তার উপর নির্ভর করে তার বিয়ে হবে কী না। এরজন্য কয়েকশ চাবুকের আঘাত সহ্য করতে হয় তাদের। অনেকেই জ্ঞান হারান আবার অনেকেই সন্মান এবং স্ত্রী পাবেন সেই আনন্দে হাসিমুখে সহ্য করে নেয় সব ব্যথা।
এই কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে সেই পুরুষের ধর্য্যের পরীক্ষা করা হয়। স্ত্রীর পাশাপাশি সন্মান পাওয়ার জন্য বর চাবুকের আঘাত সহ্য করেন। বর যদি এই আঘাত সহ্য করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী না হয় তবে তার বিবাহ বাতিল করা হয়।আবার সমাজেও অসম্মানিত হয়।তবে চাবুকের আঘাত থেকে বাঁচার উপায়ও আছে। তারজন্য কনের পরিবারকে দিতে হবে যৌতুক।কিন্তু বেশিরভাগ পুরুষের সেই সামর্থ্য থাকে না। তাই বাধ্য হয়েই এই পথ বেছে নেন তারা।
No comments:
Post a Comment