পিরামিড তৈরির পেছনে রহস্য
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৬ মার্চ:
বিশ্বের বিভিন্ন আশ্চর্য স্থাপত্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মিশর বা অধুনা ইজিপ্টের পিরামিড। বহু রহস্য এখনও সেগুলোকে ঘিরে রেখেছে। এখনও পিরামিডকে কেন্দ্র করে নানা রকম লোককথা মুখে মুখে ফেরে।বৈজ্ঞানিকরা একাধিক তথ্য আবিষ্কার করলেও এখনও রহস্যে ঢাকা অনেক কিছুই।
আবার এই পিরামিড ঘিরেই রয়েছে একাধিক কনস্পিরেসি থিওরি। আর সেই তত্ত্ব পিরামিডকে জুড়ে দিয়েছে ভিনগ্রহী বা এলিয়েনদের সঙ্গে। যে দুটি বিষয় নিয়েই অসীম আগ্রহ আছে বহু মানুষের।
বর্তমানের ইন্টারনেটের যুগে একটি প্রশ্ন প্রায়শই ভেসে বেড়ায়-তা হল পিরামিডগুলি কি সত্যিই মানুষের তৈরি। না কি ভিনগ্রহীদের অবদান।কারণ সেই যুগে যখন বড় বড় পাথরের সাহায্যে এই ধরনের পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল তখন এমন কোনো প্রযুক্তি থাকা প্রায় অসম্ভব বলে দাবি কিছু মানুষের।
মিশরের গ্রেট পিরামিড সম্পর্কে বলা হয় যে এটি তৈরিতে প্রায় ২৩ লক্ষ চুনাপাথর ব্যবহার করা হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা হল এই পিরামিড তৈরিতে ব্যবহৃত প্রতিটি পাথরের ওজন ছিল প্রায় ২টন।
এখন এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে,সে সময় যখন ক্রেনের মতো কোনো প্রযুক্তিই ছিল না। তাহলে কিভাবে এই পাথরগুলো তুলে পিরামিডের মধ্যে এত উঁচুতে বসানো হল।
আসলে গিজায় নির্মিত তিনটি পিরামিড ওরিয়ন বেল্টের তিনটি তারার সঙ্গে সারিবদ্ধ। এছাড়া পিরামিডের দেওয়ালে বহু হায়ারোগ্লিফিক লিপি পাওয়া গেছে,যা পাঠোদ্ধার হয়নি।
দাবি করা হয়,সেই লিপিতে এমন করে সাজানো হয়েছে যেখানে মহাকাশযানের মতো করে জিনিস তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া পিরামিডের ভূগর্ভস্থ দেয়ালে অনেক ধরনের আঁকা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment