পুঁটি মাছ চাষ পদ্ধতি - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 20 March 2024

পুঁটি মাছ চাষ পদ্ধতি


 পুঁটি মাছ চাষ পদ্ধতি




রিয়া ঘোষ, ২০ মার্চ : পুঁটি মাছ আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকে খুবই জনপ্রিয়।  এক সময় আমাদের দেশের স্বাদু জলের অঞ্চলে খাল-বিল, ধানক্ষেত, হর-বোর্ড ও জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণে পুঁটি পাওয়া যেত।  



  পুঁটি মাছ চাষ বাড়ির পুকুর বা ছোট পুকুরে করা যেতে পারে।  প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণের ক্ষমতা, পরিপূরক খাদ্যের প্রতি আগ্রহ, প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশে বেঁচে থাকা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে কৃষকদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তাও দিন দিন বাড়ছে।  অন্যদিকে এই মাছ খুব সহজেই চাষ করা যায়।  ফলে পুঁটি মাছ চাষে মাছ চাষীদের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে।



  পুঁটি মূলত মিঠা জলের মাছ।  এটি সাধারণত খাল ও বিলে পাওয়া যায়।  তবে আমাদের দেশে বর্তমানে এই মাছ পুকুর বা ছোট জলাশয়ে চাষ করা হচ্ছে।  পুঁটি মাছ চাষের জন্য প্রথমে উপযুক্ত পুকুর নির্বাচন করতে হবে।  পুকুরের পাড় যেন সবসময় নিরাপদ ও বন্যামুক্ত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।  এছাড়াও পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পেতে হবে এবং পুকুরকে জলজ আগাছা থেকে মুক্ত রাখতে হবে।


  সাধারনত বছরের যে কোনও সময় পুঁটি মাছ চাষ করা যায়।  পোনাকে সকাল বা সন্ধ্যায় পুকুরে বা যেকোনও ধরনের ছোট জলাশয়ে ছেড়ে দিতে হবে।  কারণ তাপমাত্রা সহনীয়।  অন্যথায় মাছ মারা যেতে পারে।  এপ্রিল-মে মাসে ডিম ফুটে।  তাই এ সময় পুঁটি মাছ চাষ করাই ভালো।




বাড়ির পুকুর বা যেকোনও ধরনের ছোট জলাশয়ে পুকুরের মাছ চাষ করতে হলে প্রথমে পোনা সংগ্রহ করতে হবে।  এ জন্য আশেপাশের যে কোনও হ্যাচারি থেকে পোনা সংগ্রহ করতে হবে।   তবে ডিম ফোটার পর সঠিক যত্ন নিতে হবে।



  পরিবহন ব্যাগের জল এবং পুকুরের জল একই তাপমাত্রায় আনতে হবে।  তারপর ব্যাগের মুখ খুলে পুকুরের জল একটু একটু করে ব্যাগে ঢেলে দিন এবং ব্যাগের জল একটু একটু করে পুকুরে ঢেলে দিন। ৪০-৫০ মিনিটের জন্য, পোনাটি পুকুরের জলের সাথে খাপ খাইয়ে নিবে।


  পুকুরে মাছ চাষে আপনাকে নিয়মিত সঠিক খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে।  এই মাছ প্রাকৃতিকভাবে প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে শেওলা খায়।  এছাড়াও, এই মাছ সাধারণত সব ধরনের খাবার খায়।  তাই তাদের চাষের জন্য আলাদা খাবারের প্রয়োজন নেই।



পুঁটি মাছ চাষের জন্য পুকুর বা জলাশয়ে সঠিকভাবে সার ব্যবহার করতে হবে।  সময়ে সময়ে ইউরিয়া ও অন্যান্য সার ব্যবহার করতে হবে।  এতে পানির গুণাগুণ বজায় থাকে এবং মাছের ক্ষতি হয় না।  বরং মাছের বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad