ডুঙ্গারপুর মামলায় আজম খানের ৭ বছরের কারাদণ্ড
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ মার্চ : ডুঙ্গারপুর মামলায় রামপুরের সাংসদ-বিধায়ক আদালত সমাজবাদী পার্টির সিনিয়র নেতা আজম খানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালত এই মামলায় আজম খানকে আইপিসির ৪২৭, ৫০৪, ৫০৬, ৪৪৭ এবং ১২০B ধারায় দোষী ঘোষণা করেছিল। আজম খানের পাশাপাশি প্রাক্তন পৌরসভার চেয়ারম্যান আজহার আহমেদ খান, ঠিকাদার বরকত আলী, অবসরপ্রাপ্ত সিও আলে হাসানকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ সময় সীতাপুর জেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির হন সপা নেতা আজম খান।
উল্লেখ্য, সপা আমলে ডুঙ্গারপুরে আশারা বাড়ি তৈরি হয়েছিল। এই জায়গায় আগে থেকেই কিছু লোকের বাড়ি তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালে এটি সরকারি জমিতে ঘোষণা করে ভেঙে ফেলা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ডাকাতির অভিযোগও করেছেন। ২০১৯ সালে রামপুরের গঞ্জ থানায় এ বিষয়ে প্রায় ডজন খানেক বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, সপা সরকারের আমলে আজম খানের নির্দেশে পুলিশ ও সপারা আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির জন্য জোর করে বাড়ি খালি করে দিয়েছিল। বুলডোজার দিয়ে সেখানে তৈরি বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ডুঙ্গারপুর মামলার একটি মামলায়, আদালত ৩১ জানুয়ারী ২০২৪-এ রায় দেয়। আদালত আজম খানকে খালাস দিয়েছে। রুবির স্ত্রী কারামত আলীর পক্ষে এ মামলা দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে আজম খানসহ সব অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। ২০১৯ সালে আজম খানের বিরুদ্ধে মোট ৮৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর বেশির ভাগই আদালতে বিচারাধীন। এখন পর্যন্ত মোট ৫টি মামলার রায় এসেছে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত এবং দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন।
No comments:
Post a Comment