দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান, প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা পার্থসারথি দেব
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৩ মার্চ: জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ। প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা পার্থসারথি দেব। শুক্রবার রাতে প্রয়াত হন তিনি। অভিনেতা ৪০ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন । একের পর এক দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে তিনি মন কেড়েছেন দর্শকের। তাঁর চলে যাওয়ায় শোকের ছায়া টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। শনিবার তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন ইন্ডাস্ট্রির গুণীজনেরা। দুপুর ১২টায় নিয়ে আসা টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োয়।
দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা। সিওপিডির সমস্যা ছিল তাঁর। এমআর বাঙুর হাসপাতালে ইন্ডাস্ট্রির তাঁর এক অনুজ সহকর্মী ভর্তি করিয়েছিলেন। তারপর কখনও আইসিইউ, কখনও ভেন্টিলেশন, কখনওবা সিসিইউ, বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। তবে সব চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। প্রায় ৪৫ দিনের লড়াইয়ের অবসান হল এদিন।
অভিনেতার মৃত্যুর পর আর্টিস্ট ফোরামের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয়েছে, ২২ মার্চ রাত ১১.৫০ মিনিটে মৃত্যু হয় পার্থসারথী দেব-এর। অভিনেতার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে জানানো হয়, 'তাঁর অকাল প্রয়াণে ফোরাম গভীর শোক জ্ঞাপন করছে। আজ ২৩ মার্চ, ২০২৪ টেকনিশিয়ানস স্টুডিয়োয় বেলা ১২টায় অভিনেতার নশ্বর দেহ রাখা থাকবে। অভিনেতার প্রিয়জন, সতীর্থ, গুণগ্রাহীরা সেসময় স্টুডিয়োয় এসে শেষ শ্রদ্ধা ও মাল্যদান করতে পারেন।'
টেলিভিশন থেকে চলচ্চিত্র জগৎ, তিনি ছিলেন সকলের প্রিয়। তাঁর বাচনভঙ্গি, অভিনয় ক্ষমতা মানুষকে মুগ্ধ করেছে বারবার। পার্থসারথী দেব একের পর এক সিরিয়ালে সকলের মন জয় করেছেন। অভিনেতার অসুস্থতার খবর আসার পর থেকে সকলেই চিন্তায় ছিলেন, তাঁর দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেছে সকলেই। তাঁর জনপ্রিয় বেশকিছু ধারাবাহিকে আজও মানুষের মনে গভীরভাবে রয়ে গিয়েছে। কমেডি-ড্রামা 'চুনি পান্না' থেকে শুরু করে যেকোনও বলিষ্ঠ চরিত্রে অভিনয় করে মন ছুঁয়েছেন বারবার। 'জয়ী' ধারাবাহিকেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
জি বাংলায় জয়ী ধারাবাহিকে পার্থসারথির বাবার ভূমিকায় অভিনয় সকলের মন জয় করেছিলেন। তাঁর বহুমুখী প্রতিভা দর্শককে আকৃষ্ট করেছিল বারবার। নাটকের মঞ্চেও মন ছুঁয়ে নিয়েছিলেন সকলের। আজও তিনি সকলের কাছে অনুপ্রেরণার। তাঁর সুস্থতার প্রার্থনা সকলে করলেও, শেষরক্ষা হল না। ইন্ডাস্ট্রির প্রবীণ অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
No comments:
Post a Comment