শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ব্রাত্যকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 4 April 2024

শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ব্রাত্যকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের



শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ব্রাত্যকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের


নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৪ এপ্রিল, কলকাতা : ব্রাত্য বসুকে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের সুপারিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল।  সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রাজভবন এই বিষয়ে নবান্নকে চিঠি পাঠিয়েছে।


  সূত্রের খবর, রাজ্যপালের অভিযোগ, ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন।  এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও পাঠিয়েছে রাজভবন।


  এ বিষয়ে রাজভবন থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  তবে, রাজ্যপালের এমন সুপারিশের সত্যতা স্বীকার করার পরে, ব্রাত্য বসু ট্যুইট করে পাল্টা আক্রমণ করেন। শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে রাজ্যপাল শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের জন্য কাজ করছেন না, তার সীমাও অতিক্রম করছেন।



  ব্রাত্য ব্যঙ্গাত্মকভাবে ট্যুইট করেছেন, "এটা হাস্যকর হবে যদি আমি রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালের পদত্যাগ চাই, তিনিও তাই করলেন। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই একজন মন্ত্রীকে অপসারণ করতে পারেন।  এক্ষেত্রে রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন।  নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হলে রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করবে। উনি আগবাড়িয়ে কেন এমন করছেন?"



ঘটনাটি শুরু হয়েছিল ৩০ মার্চ, যখন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল-পন্থী অধ্যাপক সংগঠনের একটি সভা চলছিল।  ব্রাত্য ছাড়াও তৃণমূলের দুই লোকসভা প্রার্থীও বৈঠকে যোগ দেন।


  রাজ্যপালের দাবী, ব্রাত্য শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন।  বিষয়টি তদন্ত করে রাজ্যপাল জানতে পারেন যে ব্রাত্য অন্তর্বর্তী উপাচার্য রজতকিশোর দে-র অনুমতি নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন।


  রাজভবন মঙ্গলবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের পদ থেকে রজতকিশোর দেকে সরিয়ে দিয়েছে।  কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর তাঁকে সেই পদে পুনর্বহাল করে।


  শুধু তাই নয়, বুধবার রাতে এই বিষয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে একটি ট্যুইট করেন ব্রাত্য।  এতে ব্রাত্যের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ছিল, যেখানে তিনি রাজ্যপালকে ঈশ্বরের সাথে তুলনা করেছিলেন, বলেছিলেন "ভগবান বুদ্ধ হয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না।"


  

  ব্রাত্যর ট্যুইটের জবাবে বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবন থেকে দুটি ট্যুইট করা হয়।  পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়।  তবে সেই ট্যুইটের বরাত দিয়ে একটি ট্যুইট করেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।


  ব্রাত্য বলেন, "আমি কোনও বিধিভঙ্গ করিনি। রাজ্যপাল মনোনীত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad