প্রেগনেন্সি টেস্টের আজব পদ্ধতি! গমই জানিয়ে দিত মহিলা গর্ভবতী কিনা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 2 April 2024

প্রেগনেন্সি টেস্টের আজব পদ্ধতি! গমই জানিয়ে দিত মহিলা গর্ভবতী কিনা


প্রেগনেন্সি টেস্টের আজব পদ্ধতি! গমই জানিয়ে দিত মহিলা গর্ভবতী কিনা




প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০২ এপ্রিল: এখন সারা বিশ্বে অনেক মেশিন পাওয়া যায়, যা মানবদেহে ঘটছে এমন সব ধরনের পরিবর্তন তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করে, কিন্তু প্রাচীনকালে এই মেশিনের অস্তিত্ব ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে, শরীরের প্রতিটি পরিবর্তন বর্ণনা করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হত। এর মধ্যে একটি হল প্রেগন্যান্সি টেস্ট। আসলে, সেই সময়ে যেভাবে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা হত তা আপনাকে অবাক করে দিতে পারে।


 গম বলে দেবে একজন মহিলা গর্ভবতী কি না

আপনি জেনে অবাক হতে পারেন, তবে প্রাচীনকালে গম দিয়ে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা হত। মেন্টাল ফ্লস-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ১৩৫০ সালের দিকে মিশরে মহিলাদের জন্য গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার পদ্ধতিতে গম এবং যব একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল।


আসলে, এই দুটি জিনিসের সাহায্যে, এই লোকেরা শিশুর লিঙ্গ সম্পর্কেও জানতেন। তার মানে, এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে, মিশরের লোকেরা জানতে সক্ষম হতেন যে, একজন গর্ভবতী মহিলার ছেলে হবে নাকি মেয়ে!


 পদ্ধতি কী ছিল

১৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, যখন মিশরের জনগণকে মহিলাদের গর্ভাবস্থা সম্পর্কে জানতে হত, তখন সেখানকার চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এই সমস্ত মহিলাদের যব এবং গমের বীজে প্রস্রাব করতে বলতেন। এই প্রক্রিয়া বেশ কিছু দিন চলতে থাকে, এর পর যদি গমের বীজ থেকে গাছপালা বের হতে শুরু করে তাহলে বিশ্বাস করা হত যে মেয়ে হবে এবং যবের বীজ থেকে গাছ বের হতে শুরু করলে ছেলে হবে বলে বিশ্বাস করা হত। এ ছাড়া এই বীজে কয়েকদিন প্রস্রাব করার পরও যদি কোনও বীজ অঙ্কুরিত না হয়, তাহলে ধারণা করা হতো ওই মহিলা গর্ভবতী নন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে, একজন মহিলার গর্ভাবস্থা শনাক্ত করা তো যেত, তবে এতে অনেক দিন সময় লেগে যেত।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad