প্রচণ্ড দাবদাহেও জল সংকট, সমস্যা না মিটলে ভোট বয়কটের ডাক
নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ২৫ এপ্রিল: চল্লিশ বছরেও আসেনি জলের লাইন। তীব্র গরমে জল সংকটে হাওড়ার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ পাড়ার মানুষ। সমস্যা না মিটলে ভোট বয়কটের ডাক।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন মৌখালী শেখ পাড়া। প্রায় চল্লিশ বছর আগে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এলাকা। অথচ আজ পর্যন্ত স্থায়ী পানীয় জলের সরবরাহ পায়নি ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৌখালী শেখপাড়া। এলাকার একমাত্র চাপাকলটাও প্রায় দুমাস ধরে খারাপ। জল কিনে খেতে হয় বাসিন্দাদের। তীব্র গরমে কার্যত অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। প্রমাদ গুনছেন, 'গরমের দিনগুলো কাটবে কীভাবে' তা নিয়েই। সামনেই আবার একটা নির্বাচন। প্রতিবার ভোটের আগে মেলে আশ্বাস কিন্তু জল আসেনি এলাকায়।তাই এবার ভোট বয়কটের চিন্তা-ভাবনা এলাকার প্রায় দেড় হাজার মানুষের।
শেখ আহমেদ হোসেন নামে এক বাসিন্দার কথায়, 'এক বালতি জল পনেরো টাকা দিয়ে কিনতে হয়। অথচ কোনও জনপ্রতিনিধির দেখা মেলে না। তিনবারের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা মেলে না। সমস্যা না মিটলে আমরাও ভোট দেব না। ওরা আমাদের না দেখলে আমরাও দেখব না।'
অত্যন্ত ক্ষোভের সুরে প্রায় বছর সত্তরের বৃদ্ধা এলাকার বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন, 'গোটা রমজান মাস চাপা কল খারাপ। বারবার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওই ব্যস্ত রাস্তা টপকে ঝুঁকি নিয়ে আমাকে ওপারে এক জ্ঞাতির বাড়ি থেকে জল আনতে হয়েছে।'
প্রসূন বন্দোপাধ্যায় জানান, সাংসদ তহবিলের টাকা কেন্দ্র ঠিকমতো দেয়নি, তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেক কাজ করা যায়নি। তবে তাঁর আশ্বাস, এবার জিতলে জলের সমস্যা মিটে যাবে। এই নিয়ে আবার প্রসূনকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'সাংসদ কোটার টাকায় যা খরচ হয়েছে সেটা অস্বচ্ছ। উনি কাজের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন আগে।'
বিষয়টি নিয়ে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, 'খারাপ থাকা টিউবওয়েল খুব শীঘ্রই সারিয়ে দেওয়া হবে। ওই এলাকার জলসরবরাহ দেখে কে এম ডি এ। ওই দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা হয়েছে। জল সমস্যা মিটে যাবে।'
তবে অভিযোগ, বারবার প্রতিশ্রুতি পেলেও মেলেনি সমাধান। তীব্র গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই গরমে কীভাবে জল ছাড়া কাটাবেন! এই জল সংকটের হাত থেকে কবে রেহাই পাবেন! সেই আশায় দিন গুনছেন এলাকাবাসীরা।
No comments:
Post a Comment