চা-রুটির প্রাতঃরাশ, রামায়ণ ও গীতা পাঠ! তিহারে কেমন কাটবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিন?
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ এপ্রিল: মদ নীতি সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং মামলায় আটকে পড়া দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বর্তমানে কোনো স্বস্তি মেলে নি। রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত তাকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। এর পর কেজরিওয়ালকে আদালত থেকে সরাসরি তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিহার জেলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিহার জেলের ৫ বা ২ নম্বর ব্যারাকে রাখা হবে। কয়েকদিন আগেই আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিংকে ২ নম্বর জেল থেকে ৫ নম্বর জেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মণীশ সিসোদিয়াকে ১ নম্বর জেলে রাখা হয়েছে। ২ নম্বর কারাগারে বেশির ভাগই সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী বিচারাধীন বন্দীদের ৫ নম্বর কারাগারে রাখা হয়।
৩ টি বইয়ের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে
কেজরিওয়ালকে তিনটি বই পড়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা। এই বইগুলির মধ্যে রয়েছে ভগবদ গীতা, রামায়ণ এবং সাংবাদিক নীরজা চৌধুরীর লেখা 'হাউ প্রাইম মিনিস্টারস ডিসাইড'।
কারাগারের রুটিন
সকালে সূর্য ওঠার সাথে সাথে বন্দীদের সেল ও ব্যারাক খুলে দেওয়া হয়। সকাল ৬.৩০ টায় প্রাতঃরাশের জন্য চা এবং রুটি পরিবেশন করা হয়। স্নান করার পর যদি তাকে আদালতে যেতে হয় বা মিটিং করতে হয়, সে তার জন্য প্রস্তুত হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে একটা ডাল, সবজি আর ৫টা রুটি, যে কয়েদি রুটি খেতে চায় না সে ভাত নিতে পারে। এরপর দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।
এরপর বিকাল ৩টায় বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ৩.৩০ এ চা ও ২টি বিস্কুট দেওয়া হয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে কেউ আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তা করতে পারেন। তারপর বিকাল ৫.৩০ টায় রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ১ ডাল, সবজি এবং ৫টি রোটি, যারা রুটি খান না তাদের জন্য ভাত। তারপর সাড়ে ৬টা বা ৭টায় যখন সূর্য অস্ত যায়, সব কয়েদিদের কক্ষে তালা দেওয়া হয়। সকাল ৫টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বন্দীরা টিভি দেখতে পারবেন। যেটিতে ১৮ থেকে ২০ টি চ্যানেল দেখা যায়, এর মধ্যে রয়েছে সংবাদ, বিনোদন, খেলাধুলা ইত্যাদি চ্যানেল। কারাগারে কারো শারীরিক সমস্যা হলে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment