অগ্নিমিত্রা ও জুন মালিয়ার প্রচারে গুরুত্ব পাচ্ছে ধর্ম স্থান
রনাভ রায়, মেদিনীপুর
দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রে জিততে মরিয়া প্রচার করছেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। কখনও পুজো দিচ্ছেন। কখনও বুলেট বাইকে ঘুরছেন শহর। আবার কখনও চায়ের দোকান ও শহরের ব্যস্ত মোড়ে বসে চা চক্রের মাধ্যমে প্রচার করছেন বিজেপির মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।
অগ্নিমিত্রা পালের জনসংযোগ দেখে কর্মীদের মনে পড়ছে এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষের কথা। খড়্গপুরে বুলেট বাইকে চেপে শহর ঘুরে প্রচার ও জনসংযোগ শুরু করেছিলেন দিলীপ। দিলীপের মত প্রচার ধরনে জনসংযোগ করছেন অগ্নিমিত্রা।
লোকসভা নির্বাচনে অগ্নিমিত্রা পালকে দিলীপ ঘোষের জায়গায় প্রার্থী করেছে বিজেপি । লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় চরকির মতন ঘুরছেন অগ্নিমিত্রা। খড়গপুর শহর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার অলিতে গলিতে প্রচার করেন তিনি। প্রতিটি এলাকার মন্দিরে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন পুজো। সেখানে ভীড় করছেন দলের কর্মী সমর্থকও ভোটাররা। গত পাঁচ বছরে দিলীপ ঘোষের খাসতালুক হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে রেল শহর খড়গপুর। সাংসদ থাকা কালীন সময়ে সপ্তাহে একাধিক দিন আসতেন তিনি। মর্নিং ওয়াক পরে চা চক্র এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতেন দিলীপ।আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বদলেছে প্রার্থী। দিলীপের যায়গায় প্রার্থী হয়েছেন অগ্নিমিত্রা। তবে দিলীপের মতন জনসংযোগে জোর দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। যোগদান করাচ্ছেন বিরোধী দলের সক্রিয় কর্মীদের।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বজিৎ কর্মকারের নেতৃত্বে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেছে। বেশ কিছু যোগদানকারীরা তৃনমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমুলের তরফে টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হন বিশ্বজিৎ কর্মকার সহ পাঁচজন নির্দল সদস্য। পরে তাদের তৃণমূল থেকে বহিস্কার করা হয়। ওই পাঁচ নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিনশোর বেশি মানুষ বিজেপিতে যোগ দেয়। ভোটের আগে বিজেপিতে এই যোগদানে অস্বস্তিতে তৃণমূল।
এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন জুন মালিয়া। তিনিও প্রচার করছেন চরকির মতন ঘুরে ঘুরে। নেতাকর্মীদের নিয়ে লোকসভা ভোটের প্রচার করতে তিনিও মন্দির ও মসজিদ ছাড়াও মেলা ময়দানে ইফতার পার্টিতে অংশ নিচ্ছেন জুন মালিয়া।
মুসলিম কমিটির নেতা , ভারত সোবাশ্রম সঙ্ঘের সম্পাদক , চার্চের ফাদার , বৌদ্ধ বিহারের সম্পাদক , বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিত এবং কাউন্সিলরদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন ।
জুন মালিয়ার দাবি , "বিজেপি একটা সাম্প্রদায়িক দল। তারা ধর্মের ভিত্তিতে সব কিছু ভাগ করে । ভারতে বসবাসকারী সকলে ভারতীয় । সিএএ ও এনআরসি বাংলা মানবে না।"
No comments:
Post a Comment