জেনে নিন হাইপোথাইরয়েডিজম-এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 3 April 2024

জেনে নিন হাইপোথাইরয়েডিজম-এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে


জেনে নিন হাইপোথাইরয়েডিজম-এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩ এপ্রিল: থাইরয়েড আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।এটি আমাদের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে।থাইরয়েড হল একটি প্রজাপতির মতো গ্রন্থি যা আমাদের গলার সর্বনিম্ন অংশে অবস্থিত।যখন এই গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন থাইরয়েড ব্যাধি দেখা দেয়।আজ আমরা জানবো হাইপোথাইরয়েডিজম-এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে।

গত কয়েক বছরে থাইরয়েডের রোগ দ্রুত বেড়েছে।ভারতেও এর রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।থাইরয়েড দুই ধরনের- হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম।উভয় অবস্থাই বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।বেশিরভাগ মহিলারা থাইরয়েড রোগকে স্বাভাবিক বিবেচনা করে উপেক্ষা করেন,যা ভবিষ্যতে আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে।  তাই এটাকে হালকাভাবে নিয়ে ভুল করবেন না।আসুন  বিস্তারিতভাবে এটি সম্পর্কে জানি।

হাইপোথাইরয়েডিজম কি?

থাইরয়েড হল ঘাড়ের সামনের দিকে প্রজাপতির আকৃতির একটি গ্রন্থি।এই গ্রন্থি হরমোন তৈরি করে।অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি,থাইরয়েড গ্রন্থিও বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।  থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হলে তা হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা সৃষ্টি করে।

হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ:

বর্ধিত ওজন -

হাইপোথাইরয়েডিজমের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল ওজন বৃদ্ধি।কারণ থাইরয়েড হরমোন বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।যখন এর উৎপাদন কমে যায়,ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে।কম খাওয়া এবং ব্যায়াম করার পরেও যদি আপনার ওজন বাড়তে থাকে, তাহলে একবার আপনার থাইরয়েড পরীক্ষা করে নিন।

কোষ্ঠকাঠিন্য -

হাইপোথাইরয়েডিজমে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা রয়েছে।ওজন বৃদ্ধি মানেই অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণ।যার মধ্যে একটি হল কোষ্ঠকাঠিন্য।যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে,তাহলে তা অবহেলা না করে বরং ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করান, যাতে থাইরয়েড হরমোনের ব্যাধি থাকলে তা শনাক্ত করা যায় এবং সময়মতো ওষুধের সাহায্যে নিরাময় করা যায়।

অনিয়মিত মাসিক -

মহিলাদের প্রজনন ব্যবস্থা থাইরয়েড হরমোনের উপর নির্ভর করে।তাই থাইরয়েড হরমোনের ওঠানামার কারণে পিরিয়ড নিয়মিত হয় না।মাসিক নিয়মিত আসে না এবং কখনও কখনও ৫-৬ দিনের বেশি সময় ধরেও চলতে থাকে।উভয় অবস্থাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

চুল পড়া -

চুল পড়া আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণেও হতে পারে।চুল পড়ার সাথে সাথে চুল শুষ্ক ও প্রাণহীনও দেখায়।চুলের পাশাপাশি নখও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভাঙতে শুরু করে।

শুষ্ক ত্বক -

যদি আপনার ত্বক খুব শুষ্ক থেকে যায়,তবে এটি হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণও হতে পারে।শুষ্কতার কারণে চুলকানির সমস্যা বাড়তে পারে।এই শুষ্কতা হাত ও পায়ে বেশি দেখা যায়,তবে হাতের তালু ও পায়ের পাতাও শুষ্ক দেখায়।

কীভাবে আমরা এই সমস্যা এড়াতে পারি?

হাইপোথাইরয়েডিজম এড়াতে,স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়ামের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিন।

আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ান।

রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ জিনিস এড়িয়ে চলুন।

ক্যাফেইন এবং চিনি থেকেও দূরে থাকুন।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad