স্মোকড বিস্কুট খেয়ে অসুস্থ কর্ণাটকের শিশু! কী আছে এতে?
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ এপ্রিল: আজকাল, বাজারে লিক্যুইড নাইট্রোজেন দিয়ে তৈরি স্মোকি বিস্কুটের শিশুদের মধ্যে প্রচুর ক্রেজ রয়েছে। মেলায় এ ধরনের বিস্কুট বেশি দেখা যায়। সম্প্রতি, কর্ণাটকের একটি ঘটনা এই বিস্কুটের দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যেখানে এটি খেয়ে একটি শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায় শিশুটি একটি বিস্কুট খায় যার সাথে ধোঁয়া বের হয়, এরপর তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং সে ব্যথায় ছটফট করতে থাকে। আসুন জেনে নিই এই স্মোক বিস্কুট কী এবং এতে ব্যবহৃত লিক্যুইড নাইট্রোজেন কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে?
স্মোকড বিস্কুট কী?
নাম শুনেই নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে যে, স্মোকড বিস্কুট খাওয়ার সাথে সাথেই মুখ থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে, যেমন ধূমপানের পর হয়। মানুষ এই বিস্কুট খাওয়ার সাথে সাথে তাদের মুখ থেকে সিগারেটের মত ধোঁয়া বের হতে থাকে। এ কারণে একে স্মোকড বিস্কুট বলা হয়। অনেকে একে লিক্যুইড নাইট্রোজেন বিস্কুটও বলে থাকেন।কারণ এই বিস্কুট তৈরিতে এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
লিক্যুইড নাইট্রোজেনের অপকারিতা
আজকাল অনেক রেস্তোরাঁ ও খাবারে লিক্যুইড নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হচ্ছে। ফ্রোজেন আইটেম ঠাণ্ডা রাখতে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিক্যুইড নাইট্রোজেন হল নাইট্রোজেন গ্যাস যা সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় রেখে প্রাকৃতিক রূপ অর্থাৎ গ্যাসীয় অবস্থা থেকে তরল আকারে রূপান্তরিত হয়। এটি - ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা হয়। এটি ক্রিওথেরাপি এবং ক্রায়োজেনিক্সের মতো চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।
এটি যদিও সম্পূর্ণ নিরাপদ, তবে অসাবধানে ব্যবহার করলে এটি গলায় ব্যথা এবং পেট ব্যথার মতো অভিযোগের কারণ হতে পারে। এটি ব্যবহার করার সময় অনেক ধ্যান রাখা প্রয়োজন। শীতকালে এটি ব্যবহার করলে অবশ্যই সর্দি-কাশি হতে পারে।
No comments:
Post a Comment