"উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লোকসভায় পৌঁছবেন প্রিয়াঙ্কা", বড় ইঙ্গিত কংগ্রেসের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৩ মে : কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেট, আমেঠির পরিবর্তে সোনিয়া গান্ধীর রায়বেরেলি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্তকে রক্ষা করার সময়, ইঙ্গিত দিয়েছেন যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যে কোনও উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লোকসভায় পৌঁছবেন। মনোনয়নের শেষ দিন শুক্রবার আমেঠি ও রায়বেরেলির প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। ২০১৯ সালে আমেঠিতে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যাওয়া রাহুল গান্ধী এবার রায়বেরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। আমেঠিতে ইরানি থেকে গান্ধী পরিবারের ঐতিহ্যবাহী আসনটি ছিনিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর প্রতিনিধি কিশোরী লাল শর্মাকে প্রার্থী করে। এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে, কংগ্রেস সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্তি দিচ্ছেন যে রাহুল যদি জিতেন এবং আমেঠি ছেড়ে ওয়ানাডের জন্য, স্মৃতি আবার জিতে যেত, তবে তিনি যদি রায়বেরেলি ছেড়ে যান, তবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এখান থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
রাহুল গান্ধীর আমেঠি ছাড়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মানুষ স্মৃতি ইরানির বক্তব্য মনে করিয়ে দিচ্ছে যে তিনি আমেঠি থেকে পালিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধীর ভয় পাবেন না, ভয় পাবেন না, পালাবেন না এমন বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বাংলায়ও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সমালোচনার জবাবে, সুপ্রিয়া শ্রীনেট লিখেছেন এটি একটি উত্তরাধিকার নয়, এটি একটি কর্তব্য।
সুপ্রিয়া আরও লিখেছেন, "শুধু আমেঠি-রায়বরেলি নয়, উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত গোটা দেশই গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি। রাহুল উত্তরপ্রদেশ থেকে তিনবার এবং কেরালা থেকে একবার এমপি হয়েছিলেন, কিন্তু মোদী বিন্ধ্যাচল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি কেন সাহস জোগাড় করতে পারেননি? স্মৃতি ইরানির কাছ থেকেও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
No comments:
Post a Comment