বিশ্বব্যাপী গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হাঁপানি - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 12 May 2024

বিশ্বব্যাপী গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হাঁপানি


বিশ্বব্যাপী গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হাঁপানি

প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১২ মে: হাঁপানি এখনও বিশ্বব্যাপী একটি গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা।বিশ্বব্যাপী হাঁপানির কারণে মোট মৃত্যুর মধ্যে ৪৪ শতাংশ আমাদের দেশে ঘটে।ভারতে প্রতি বছর এই রোগের কেস বাড়ছে।হাঁপানি একটি বিপজ্জনক রোগ।সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ এই রোগের লক্ষণ চিনতে পারে না।লোকেরা এটিকে সাধারণ কাশি বা শ্বাসকষ্ট হিসাবে বিবেচনা করে উপেক্ষা করে।এই কারণে এই রোগ বাড়তে থাকে।সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করলে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে যান।কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো হাঁপানির কোনও স্থায়ী চিকিৎসা হয় না।এই রোগ শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।এই রোগটি একবার দেখা দিলে তা আর যায় না।হাঁপানি কী,কেন হয় এবং কেন এর কোনও স্থায়ী চিকিৎসা নেই?আসুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এটি সম্পর্কে জানি।

হাঁপানি কী?

শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের নিওলজি বিভাগের ডাঃ অনিমেষ আর্য ব্যাখ্যা করেন যে,হাঁপানি একটি ফুসফুসের রোগ।এতে শ্বাসতন্ত্র ক্রমাগত ফুলে যায় ও সঙ্কুচিত হতে থাকে।এই কারণে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা আসতে থাকে।এই সমস্যা চলতে থাকলে তা মারাত্মকও হতে পারে।অ্যাজমা যে কোনও বয়সেই হয়।তবে শিশু ও বৃদ্ধরা এর সবচেয়ে বড় শিকার।দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে হাঁপানির রোগী।  ক্রমবর্ধমান দূষণ এই রোগের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির একটি বড় কারণ।

কী কারণে এই রোগ হয়?

ধর্মশিলা নারায়ণ হাসপাতালের পালমোনোলজি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিন বিভাগের ডাঃ নবনীত সুদ ব্যাখ্যা করেছেন যে, হাঁপানির অনেক কারণ রয়েছে।দূষণ,অত্যধিক ধূমপান এবং যেকোনও ধরনের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে এই রোগ হয়।  কিছু কিছু ক্ষেত্রে জিনগত কারণেও এই রোগ হয়ে থাকে।অর্থাৎ আপনার পরিবারের কেউ যদি আগে এই রোগে ভুগে থাকেন,তাহলে আপনারও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপসর্গ গুলো কী?

শ্বাস নিতে অসুবিধা।

বুকে টান অনুভব করা।

শ্লেষ্মার সঙ্গে কাশি।

ঘুমের সময় বুকে শ্বাসকষ্টের শব্দ।

হাঁপানির স্থায়ী চিকিৎসা নেই কেন?

গুরুগ্রামের নারায়ণ হাসপাতালের পালমোনোলজি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিন বিভাগের ডাঃ শ্বেতা বনসাল ব্যাখ্যা করেছেন যে, হাঁপানির রোগ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা যায় না,এটি কেবল নিয়ন্ত্রণ করা যায়।এই রোগের কোনও স্থায়ী নিরাময় নেই।কারণ এটি জিনগত এবং পরিবেশগত কারণে ঘটে।হাঁপানি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে পারে এমন কোনও চিকিৎসা নেই।

একজন ব্যক্তির মধ্যে হাঁপানির আক্রমণ তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেও ঘটে।এই ধরনের সমস্যার স্থায়ী চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে।এই কারণে হাঁপানির কোনও চিকিৎসা নেই।  তবে এটি উদ্বেগের বিষয় নয়।ভালো জীবনযাপন,ভালো খাদ্যাভ্যাস এবং ইনহেলার ব্যবহার করে সহজেই এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এটি সম্পূর্ণ চিকিৎসা করা প্রয়োজন -

দিল্লির জিটিবি হাসপাতালের ডাঃ অঙ্কিত কুমার বলেছেন যে,যদিও হাঁপানির কোনও স্থায়ী নিরাময় নেই,তবে এর ওষুধের কোর্সটি সম্পূর্ণ করা প্রয়োজন।এই রোগ হলে ওষুধ মাঝখানে বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ নয়।এমন কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে লোকেরা হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ খান,কিন্তু সামান্য উপশম পেয়ে চিকিৎসা ছেড়ে দেন।যেহেতু এই রোগের স্থায়ী কোনও চিকিৎসা নেই এমন অবস্থায় আবার হাঁপানির আক্রমণ হয়।এমন পরিস্থিতিতে,এই রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষকে কখনই ওষুধের কোর্স মাঝপথে ছেড়ে না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কিভাবে হাঁপানি প্রতিরোধ করা যায়?

এই রোগ প্রতিরোধ করাও গুরুত্বপূর্ণ।এর জন্য আপনার চারপাশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উচিৎ।ধুলো,মাটি ও ধোঁয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি।নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন।অতিরিক্ত তেল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।ধূমপান করবেন না।ধুলাবালি এলাকায় বের হলে মাস্ক পরুন।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad