তীব্র দাবদাহে লবণ জল পানের অসুবিধা সমূহ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৮ মে:
এই তাপপ্রবাহে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম। ফলে কাটছে না শরীরের ক্লান্তি। আর এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই লবণ-চিনি জলে মিশিয়ে নিয়মিত পান করছেন।
কিন্তু মনে রাখবেন,এমন উপকারী একটি পানীয়ও কিন্তু বেশি পান করলে শরীরে দেখা দিতে পারে একাধিক জটিলতা। তাহলে আসুন জেনে নিন এর সাইড ইফেক্ট হিসেবে কী কী হতে পারে-
বাড়তে পারে ডায়বেটিস:
ডায়াবেটিস একটি জটিল অসুখ। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনি,চোখ,স্নায়ু সহ দেহের একাধিক অঙ্গের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।তাই যেভাবেই হোক রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তাই প্রতিদিন লবণ-চিনির জল পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। গরমের দাপটে সুগার ফল করলে বা খুব ক্লান্ত লাগলেই এই পানীয়ে চুমুক দিন।অন্যথায় রক্তে গ্লুকোজ লেভেল স্বাভাবিকের গন্ডি ছাড়িয়ে যেতে সময় লাগবে না।
বাড়বে প্রেশার:
এমনিতে গরমের সময় শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে লবণ বেরিয়ে যায়।তাই শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য ফেরাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত লবণ-চিনির জল পান করতেই হবে।
তাই বলে দৈনিক ২-৩লিটার এই পানীয় পান করবেন না। এর ফলে হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। বিশেষ করে হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীরা মুখের স্যালাইন বা লবণ-চিনির জল পান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
বাড়বে কোলেস্টেরলও:
চিনি হল রিফাইন কার্ব।আর এই উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডস বাড়াতে পারে।তাই বিশেষজ্ঞরা যে কোনো হাইপারলিডিমিয়ায় ভুক্তভোগীদের গ্লাসের পর গ্লাস লবণ-চিনির জল পান করতে বারণ করেন।
হাই ব্লাড প্রেশার,ডায়াবেটিসের মতো অসুখ থাকলে লবণ-চিনির জল খাওয়া চলবে না। আর যাদের এসব অসুখ নেই,তারাও দিনে এক গ্লাসের বেশি এই পানীয় সেবন করবেন না।
তার বদলে খেতে পারেন,ওআরএস,ডাবের জল,লেবুর জলের মতো পানীয়। একই সঙ্গে নিয়মিত দিনে ৩-৪লিটার জল পান করা জরুরি।
No comments:
Post a Comment