ঘূর্ণিঝড় এলে রাজ্যে কতটা সর্বনাশ হবে? সতর্কবার্তা আবহাওয়াবিদদের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৭ মে, কলকাতা : মে মাস রাজ্যের জন্য শুভ না। বিগত বছরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়গুলো মে মাসেই এখানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ১৫ বছর আগে ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আয়ালা ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছিল। তার পর ১০ বছর পর ২০১৯ সালের মে মাসে, ঘূর্ণিঝড় ফণী ওডিশা হয়ে বাংলায় প্রবেশ করেছিল এবং ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয় দৃশ্যমান হয়ে উঠছিল।
মে মাস এলেই আবার সবাই আতঙ্কে। বিগত বছরগুলোর ঘটনাকে ভিত্তি হিসেবে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছু ছড়ানো হচ্ছে। কেউ আতঙ্কিত আবার কেউ ভাবছেন সত্যিই ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে। মানুষের সংশয় দূর করে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ বছর রাজ্যের মানুষের জন্য স্বস্তি থাকবে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহের পূর্বাভাসে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে একটি নয়, দুটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ মে আরব সাগরে এবং ২৩ মে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এবার সাগরের অনেক পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। এর পেছনের কারণ বঙ্গোপসাগরের উষ্ণ জল । সাধারণত ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা কমপক্ষে ৫০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত বজায় রাখা উচিৎ।
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে জলের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ৩০-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়াতে গরম জলই যথেষ্ট। অতএব, নিম্নচাপের পর্যায়ে শক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ মে এর পরে গভীর নিম্নচাপের সম্ভাবনা রয়েছে। পরে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বাড়তে পারে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনও ঘূর্ণিঝড় গঠনের পূর্বাভাস দেয়নি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও, এর প্রভাব খুব বেশি শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে না।
No comments:
Post a Comment