নৃশংস! কুমির ভর্তি খালে শিশুকে ছুঁড়ে ফেললেন মা

 

নৃশংস! কুমির ভর্তি খালে শিশুকে ছুঁড়ে ফেললেন মা

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ মে: কথায় বলে, 'কুপুত্র যদি বা হয় কুমাতা কখনই নয়'। কিন্তু এক মায়ের এমন ভয়ঙ্কর রূপের কথা শুনলে আঁতকে উঠবেন। কুমির ভর্তি খালে ছয় বছরের ছেলেকে ছুঁড়ে ফেলেন এই মা। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলায়। রবিবার (৫ মে) পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে এই পদক্ষেপ করেন ওই মহিলা। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার একটি হাতও উধাও। 

পুলিশ জানিয়েছে- কুমিরের আক্রমণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা আগে থেকেই জানতেন যে নদীতে কুমির রয়েছে। ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে তার অনেক ঝগড়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ডান্ডেলি তালুকের হালামাদি গ্রামে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলা সাবিত্রী ও তাঁর স্বামী রবি কুমারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।  

তথ্য অনুযায়ী, সন্তানের অক্ষমতা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো দম্পতির। তাদের ৬ বছরের ছেলে জন্ম থেকেই বধির ও বোবা। এক পুলিশ কর্তা জানান, শনিবার তাদের মধ্যে ঝগড়া এতটাই বেড়ে যায় যে ওই মহিলা তাদের ছেলেকে খালে ফেলে দেন। এরপর শিশুটি কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়। উল্লেখ্য, কালী নদী থেকে উৎপন্ন ঐ খালে অনেক কুমির রয়েছে। 

খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার ব্রিগেডের ডুবুরি দল নিয়ে খালের কাছে পৌঁছায়। তৎক্ষণাৎ তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। অন্ধকারের কারণে পুলিশ কিছুই খুঁজে পায়নি। রবিবার সকাল ৯টার দিকে কুমিরের চোয়ালে আটকে থাকা এক শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়। তার সারা শরীরে গভীর ক্ষত ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, আইপিসির ৩০২ ধারায় দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। মহিলা গৃহবধূ। উভয় অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ বলছে, বিষয়টি আরও তদন্ত করা হচ্ছে।