'পুঞ্চে হামলা নির্বাচনী স্টান্ট', বিস্ফোরক চন্নি! পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ ঠাকুরের

 'পুঞ্চে হামলা নির্বাচনী স্টান্ট', বিস্ফোরক চন্নি! পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ ঠাকুরের

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ মে: জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চেতে বায়ুসেনার কনভয়ে সন্ত্রাসী হামলায় একজন সেনা শহীদ হয়েছেন এবং ৪ জন আহত হয়েছেন। পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি এই সন্ত্রাসী হামলাকে নির্বাচনী স্টান্ট বলেছেন। তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন আসে তখনই এ ধরনের নাটকের ছক কষা হয়। তিনি বলেন, 'গতবারও এটা করিয়ে স্টান্ট খেলা হয়েছিল। এগুলো আগে থেকেই প্রস্তুত স্টান্ট। আর এটা করা হয় বিজেপিকে জেতাতে।'

চান্নি বলেন, অনুরাগ ঠাকুর আসবেন এবং কিছু লোক উঠে দাঁড়িয়ে সিরোপা দেবেন, তবুও কেউ তাকে ভোট দেবেন না। তিনি বলেন, 'কিছু লোক ভয় দেখানো হয় এবং ছবি তুলতে বলা হয়, কিন্তু তারপরও তাকে কেউ ভোট দেয় না।'

উল্লেখ্য, পুঞ্চ জেলায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর কনভয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছিল। এই হামলায় এক সেনা শহীদ ও ৪ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। এখন এই হামলা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা।

জলন্ধরে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর চন্নির বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এটি একটি খারাপ বক্তব্য। এতে তাদের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটে। সেনাবাহিনীকে মজবুত করার পরিবর্তে তিনি ১০ বছর দালালি করেছেন। পুলওয়ামার পর আমরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছি। সংসদ হামলার অভিযুক্তদের ফাঁসি ঠেকাতে রাত আড়াইটার দিকে এরা শুনানি করেছেন।'

 অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন যে, তিনি টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। মানুষ ভুলে যাবে না যে আমাদের ১০০০ কিলোমিটার কেড়ে নেওয়া হয়েছে – আকসাই চীনের অঞ্চল, কিছু অংশ নিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। আজ কংগ্রেস বলছে যে, পারমাণবিক শক্তিতে চলমান অস্ত্র ধ্বংস করা উচিৎ।'

তিনি বলেন যে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্নি মাত্র কয়েক দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন এবং এখন কংগ্রেসের কাছেও একই রকম বিবৃতি রয়েছে দেওয়ার জন্য। 

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অনিল গৌর বলেছেন যে, 'আমরা যদি বিশ্বের সমস্ত দেশের দিকে তাকাই তবে আমার মনে হয় ভারত এমন একটি দেশ যেখানে কিছু রাজনৈতিক দল আমাদের সাহসী সৈন্যদের বলিদান নিয়ে মজা করে। পুঞ্চে ভারতীয় বায়ুসেনার ওপর হামলার পরে, কংগ্রেস নেতা এবং পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি এটা বলা যে একটি নির্বাচনী স্টান্ট, এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। চরণজিৎ চন্নির দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।'