কবরস্থানে রহস্যময় মূর্তি, চোখ থেকে গড়াত জল
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৭ মে:
কবরস্থান একটি পবিত্র জায়গা হলেও সবার মধ্যেই এই জায়গা নিয়ে কিছুটা ভীত কাজ করে।কেমন গা ছমছমে নিস্তব্ধতা। নানা ভীতিকর কাল্পনিক গল্পও চর্চিত আছে এই স্থান নিয়ে। তবে এর মধ্যেই যদি থাকে রহস্যময় এক মূর্তি,যাকে নিয়েও গল্পের শেষ নেই।
মূর্তিটি নারী না পুরুষের সে বিষয়ে নিশ্চিত নন কেউই।স্থানীয়েরা অনেকে একে 'মৃত্যুর দেবী' হিসেবে কল্পনা করেন। কারও মতে আবার এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভয়ংকর অভিশাপ। আমেরিকার ওহায়োর ক্লিভল্যান্ডে লেক ভিউ নামে একটি করবস্থান রয়েছে।
এই কবরস্থানে ১৩ নম্বর লটের দিকে এগোলেই দেখা যাবে তামার এক বিশাল মূর্তি। ১৩ এই সংখ্যাটিকে অশুভ বলে মানেন অনেকেই। এই মূর্তির সঙ্গে অশুভ সংখ্যার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা । ক্লিভল্যান্ডের করবস্থানে ১০ হাজারের বেশি কবর রয়েছে সেখানেই তৈরি করা হয়েছিল এই তামার মূর্তি।
ইতিহাসবিদদের অনুমান,১৯২৪ সালে হার্মান এন ম্যাটজে ন নামে এক কারিগর তামার এই মূর্তি গড়েছিলেন। স্থানীয়দের অনুমান,হাসেরত পরিবারের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্যই মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন তিনি। ক্লিভল্যান্ডের খ্যাতনামী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিল হাসেরত পরিবার। চার দশকের বেশি সময় ধরে ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। তাদের পরিবারের কেউ মারা গেলে এখানে কবর দেওয়া হত।
মূর্তির নিচে ইংরেজি হরফে খোদাই করা রয়েছে হাসেরত পরিবারের নাম। মূর্তির পিছন ঠিক থেকে দুদিকে ছড়িয়ে রয়েছে দুটি ডানা।ডানা দুটির মুখ সামান্য নীচের দিকে ঝোঁকানো। মূর্তিটি দু'হাত দিয়ে একটি নিভে যাওয়া মশাল ধরে রয়েছে। মশলটি আবার উল্টোভাবে ধরা। অনেকের ধারণা 'মৃত্যুর দেবীর মূর্তি' সেটা।
কবরস্থানের মূর্তিটি আদতে নারী না পুরুষ সে বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি,এই মূর্তি মনুষ্যত্বের প্রতীক। কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গপরিচয় নয়,মনুষ্যত্বই চরম সত্য,এই ধারণা থেকেই মূর্তির এমন আদল গড়ে তুলেছেন হার্মান।
No comments:
Post a Comment