ভোররাতে হিরণের পিএ-র বাড়িতে পুলিশ, আধিকারিকদের সঙ্গে তীব্র বচসা বিজেপি প্রার্থীর
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২২ মে, কলকাতা : ফের উত্তপ্ত হতে পারে রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য পুলিশ বুধবার (২২ মে) ভোরে ঘাটাল সংসদীয় আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের PA-এর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। তিনদিন পর অর্থাৎ ২৫ মে ঘাটালে লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে তার আগে পুলিশের এই অভিযান। বুধবার ভোররাত আড়াইটায় রাজ্য পুলিশ পিএ তমোঘ্ন দে-র বাড়িতে পৌঁছে অভিযান শুরু করে। খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছে যান হিরণ। তারপর বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশের তীব্র বাদানুবাদ হয়। ঘাটালেই আরও দুই বিজেপি নেতার বাড়িতেও পৌঁছে যায় পুলিশ।
হঠাৎ কেন অভিযান চালানো হচ্ছে তা পুলিশ জানায়নি বলে দাবী হিরণের। এমনকি পুলিশের কাছেও কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল না। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা হিরণকে বলতে শোনা যায়, “রাত্রি সাড়ে তিনটায় পুলিশ তদন্ত করতে আমার পিএ-র বাড়িতে আসে। কোনও তদন্তের কাগজ দেখতে পারছে না। মনে হচ্ছে পাকিস্তান থেকে জঙ্গি এসেছে। তমোঘ্নর মা হার্টের রোগী।” এরপর হিরণের ফেসবুক লাইভে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক মন্তব্য করেন, 'প্রতারণার মামলার তদন্ত করতেই অভিযান।'
এদিকে, ঘটনার পিছনে থাকা ব্যক্তির নাম না করে, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেবকে নিশানা করেছেন হিরণ। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে না পেয়ে বিরোধীদের হয়রানির অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আগে এখানকার অভিনেতা সাংসদ বুথ জ্যাম করে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। এবার তা হবে না। উনি তো নাকি সৌজন্যতার প্রতীক। বাংলার মানুষ দেখুক তার সৌজন্যতা। আমার পিএকে ডেকে শিবির বদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অভিযানের জন্য ঘাটাল থানা ও খড়গপুর থানার আধিকারিকরা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের পিএ-র বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী হিরণ। তারপর তাকে পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার আরও দুই বিজেপি নেতার বাড়িও পুলিশ পরিদর্শন করেছে। তাদের নাম সৌমেন মিশ্র ও তন্ময় ঘোষ।
উল্লেখ্য, বেঙ্গল পুলিশের অভিযান এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। পাঁচ ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে এবং এখন চলছে ষষ্ঠ ধাপের প্রস্তুতি। ষষ্ঠ দফার ভোট হতে চলেছে ২৫ মে। ঘাটালেও একই দিনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে।
No comments:
Post a Comment