নদীতে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু, বিহারের আরারিয়ায় আতঙ্ক
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ জুন: হুড়মুড়িয়ে নদীতে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিহারের আরারিয়া জেলার সিকটি ব্লকে। এখানে বাকড়া নদীর পাড়িয়া ঘাটে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে নদীতে তলিয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে, আগের ব্রিজের অ্যাপ্রোচ কেটে এই ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে। লোকজনের অভিযোগ, সেতু নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, তাই উদ্বোধনের আগেই সেতুটি ভেঙে পড়ে। লোকজন বলছেন, সম্প্রতি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড সংস্কারের মহড়া শুরু করেছে বিভাগ। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা। আরারিয়া সাংসদ ও বিধায়ক, ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
আরারিয়ার সিকটি ব্লকে উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ে সেতুটি। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ যোজনার অধীনে নির্মিত এই সেতুর খরচ হয়েছে ৭.৭৯ কোটি টাকা। ১৮২ মিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। প্রাথমিকভাবে এতে ব্যয় হয়েছিল ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, কিন্তু পরে নদীর গতিপথ ও এপ্রোচ রোড পরিবর্তনের কারণে মোট ব্যয় বেড়ে ১২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।
এটি ২০২৩ সালের জুনে সম্পন্ন হয়েছিল। ব্রিজের দুই পাশে রাস্তা না থাকায় যানবাহন চলাচল হচ্ছিল না। পুরো নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত দুদিন ধরে সেতুর স্ল্যাবে ফাটল দেখা যাচ্ছিল। মঙ্গলবার হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে সেতুটি। কেন্দ্রীয় সরকারের পল্লী পূর্ত দপ্তরের অধীনে পার্শ্ববর্তী জেলা কিষাণগঞ্জের ঠিকাদার সিরাজুর রহমান এই সেতুটি নির্মাণ করিয়েছিলেন।
এদিকে সেতু দুর্ঘটনার পরে, সাংসদ প্রদীপ কুমার সিং এবং সিকটি বিজেপি বিধায়ক বিজয় কুমার মণ্ডল এটিকে সেন্সর এবং বিভাগীয় অবহেলার ফল হিসাবে অভিহিত করেছেন। সাংসদ ও বিধায়ক সেতুর পাইলিং নিয়ে অনিয়মের কথা বলেন এবং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে রাতে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ের টিম তদন্ত করে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেন্সর ও বিভাগীয় কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন সাংসদ।
No comments:
Post a Comment